টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এবার নজিরবিহীন রেকর্ড গড়ল বুলগেরিয়া। মাত্র ১৪.২ ওভারে ২৪৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ার মাধ্যমে তারা সৃষ্টি করল নতুন ইতিহাস। জিব্রাল্টারের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় তাদের রানরেট ছিল ১৭.০২—যা এখন পর্যন্ত ২০০ বা এর বেশি রানের লক্ষ্যে সবচেয়ে দ্রুততম রান তাড়ার রেকর্ড। ক্রিকেট সাময়িকী উইজডেন এটিকে ২০০ বা এর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়ায় সবচেয়ে দ্রুততম বলে উল্লেখ করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল সার্বিয়ার দখলে। স্লোভেনিয়ার দেওয়া ২০০ রানের লক্ষ্য তারা তাড়া করেছিল ১৪.১ ওভারে, ১৪.১১ রানরেটে। তবে এবার সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়ল বুলগেরিয়া।

তবে ন্যূনতম ১৫০ বা তার বেশি রানের লক্ষ্য তাড়ায় সবচেয়ে বেশি রানরেটের রেকর্ড রয়েছে আইপিএল দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দখলে। চলতি বছরের আইপিএলে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য মাত্র ৯.৪ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে তারা। ওই ম্যাচে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা রীতিমতো ধ্বংস চালিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের ওপর। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, এটি টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানরেটে (১২.২৭) জয় পাওয়ার নজির।

বুলগেরিয়ার রেকর্ড গড়া জয় আসে সোফিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে, যেখানে অংশ নিচ্ছে স্বাগতিক বুলগেরিয়া ছাড়াও জিব্রাল্টার ও তুরস্ক। ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জিব্রাল্টার নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে তোলে ২৪৩ রান। তাদের পক্ষে ওপেনার ফিলিপ রাইকিস ৩৩ বলে ৭৩ এবং অধিনায়ক ইয়েন ল্যাটিন করেন ২৮ বলে ৫১ রান। বুলগেরিয়ার হয়ে জ্যাকব গুল ৪ উইকেট নেন।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা। দুই ওপেনার ইসা জারু ও রিস্টো ল্যাকভ মাত্র ৪.২ ওভারে যোগ করেন ৬২ রান। ল্যাকভ আউট হয়ে যান ১৯ রানে, তবে এরপর জারু ও মিলান গোগেভ আরও জোরালোভাবে চাপ সৃষ্টি করেন প্রতিপক্ষের ওপর। জারু করেন ২৪ বলে ৬৯ রান, গোগেভ ২৭ বলে ৬৯ এবং শেষদিকে মান্নান বশির মাত্র ২১ বলে করেন ৭০ রান। তাদের ব্যাটিং ঝড়েই ১৪.২ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় বুলগেরিয়া।

ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে রান করেছে ৪৬৫, আর বল খেলেছে মাত্র ২০৯টি। স্ট্রাইকরেট দাঁড়ায় ২২২.৪৮—যা ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। এর চেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেট আছে মাত্র তিনটি ম্যাচে, তবে সেগুলোতে মোট রানের অঙ্ক ছিল ১৫০ বা তার নিচে।

 

 

The post মাত্র ৮৬ বলে ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড appeared first on Bangladesher Khela.