ময়মনসিংহের ইউপি ভূমি কর্মকর্তা আবুল কালামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া ভূমি অফিসের সাবেক ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালামের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভূমি খারিজের মাধ্যমে, ঘুষ বানিজ্য এবং জাল দলিল তৈরির মাধ্যমে ভূমি জমাখারিজ করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এত করে সে কোটি কোটি টাকার ও অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।তার বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখল এবং জমির নাম খারিজ করে দিয়ে বিনিময়ে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় সূত্র জানায়,ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কালাম প্রায় ১৫ বছর ধরে একই উপজেলায় একাধিক অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। যারা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন, তাদেরকে নানান ধরনের হুমকি ও অপমান সহ্য করতে হয়েছে। এরপর তিনি আশ্চর্যজনকভাবে ময়মনসিংহ সদরের নিলক্ষীয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলি হয়ে আসেন। যেখানে তার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য ও আরও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

বর্তমানে চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্বে থেকেও চলছেন আগের নিয়মে । রাতারাতি বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় একজন লোক উজ্জ্বলকে অফিসে বসিয়ে বাহির থেকে মেনেজ করেই চালিয়ে যাচ্ছেন ঘুষ বানিজ্য। উজ্জ্বল অফিসের স্টাফ নন।তাকে দিয়েই করা হয় ঘুষের বানিজ্য!

এছাড়া, আরও একটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি তার শাশুড়ির নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন এবং ময়মনসিংহ শহরে একটি ছয়তলা বাড়ির মালিক হয়েছেন। তার বিপুল সম্পত্তির উৎস কীভাবে তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে, স্থানীয়রা দাবি করেছেন, নায়েব কালামের বেসিক বেতন এবং তার বিশাল সম্পত্তি গঠনের পেছনে কী ধরণের অসাধুতা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া উচিত।

এই সকল অভিযোগের পর,স্থানীয় জনগণ দুর্নীতি দমনকমিশন (দুদক)-এর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের দাবি, দ্রুত এসব অভিযোগের তদন্ত করা হোক এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, এর মাধ্যমে জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 আবুল কালাম আকুয়া ভুমি অফিসে করর্মরত থাকাকালে আকুয়া এলাকার প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতাকে ম্যানেজ করে দাপটের সাথে দুর্নীতি করেছেন।গায়েব হয়েছে রেকর্ড বহির পাতা! জিলাস্কুল রোড এক ব্যাক্তির বাইপাস সংলগ্ন জমির কাগজপত্র সঠিক থাকার পর নামজারীর জন্য ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়।