ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলছেন। সেটি নিয়মিতই। এরই পুরস্কার হিসেবে ফিরেছিলেন টি-টোয়েন্টিতে দলেও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে নাইম শেখের অন্তর্ভূক্তি দেখে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, হয়তো তাকে খেলানো হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

প্রথম ম্যাচ খেললেও পরের দুই ম্যাচে আর একাদশে জায়গা পাননি বাঁহাতি এই ব্যাটার। আবার প্রথম ম্যাচে নিজের পজিশন অনুযায়ী খেলতে পারেননি নাইম।

ওপেনার হলেও কখনো কখনো তিন নম্বরেও খেলেন ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই ম্যাচে তাকে খেলানো হয়েছে ৪ নম্বরে। অপরিচিত পজিশনে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেননি নাইম। ২৯ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে, যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সঙ্গে বড্ড বেমানান।

এরপর আর সুযোগ মেলেনি। তানজিদ তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনকে দিয়েই পুরো সিরিজ ওপেন করানো হয়েছে। মিডল অর্ডারে তাওহিদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলী অনিক ও মেহেদী হাসান মিরাজই (শেষ ম্যাচ ছাড়া) খেলেছেন।

শ্রীলঙ্কা সফর শেষ করতে না করতেই দরজায় কড়া নাড়ছে পাকিস্তান সিরিজ। আগামী রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় শেরে বাংলায় সালমান আলি আগাদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে বাংলাদেশ।

নাইম শেখ কি এই ম্যাচে খেলবেন? টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা তাকে ওপেনার হিসেবে বিবেচনায় আনবেন নাকি এই সিরিজেও বাঁহাতি ব্যাটারের জায়গা হবে না? এসবই ভক্ত ও সমর্থকদের কৌতূহলী জিজ্ঞাসা।

সচেতন ক্রিকেট অনুরাগীদের ধারণা, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শেষ ম্যাচে ম্যাচ জেতানো ব্যাটিং করা তানজিদ তামিমের সঙ্গে যদি আবারও পারভেজ হোসেন ইমনকে খেলানো হয়, তাহলে নাইম শেখের ওপেনার হিসেবে খেলার সুযোগ আর থাকবে না। আর মিডল অর্ডারে জায়গা নেই বললেই চলে। হৃদয়, শামীম ও জাকের আলীর জায়গায় তার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

তবুও নাইম শেখ মুখিয়ে আছেন খেলতে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আজ শুক্রবার ছুটির দিনেও মিরপুরে অনুশীলনে এসে হাজির হয়েছেন নাইম। এদিন শেরে বাংলায় এসেছিলেন জাকের আলীও। তবে তিনি অনুশীলন করেননি, পুত্র সন্তানকে সঙ্গে করেছেন জিম।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর শেরে বাংলায় দেখা মেলে নাইম শেখের। একাডেমি মাঠে একাই অনুশীলন করেন এই বাঁহাতি টপঅর্ডার।

ভাবছেন, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে আভাস পেয়েই বুঝি মিলেছে তার দেখা। কিন্তু তেমন কিছু নয়। নাইম শেখ ব্যক্তিগত উদ্যোগেই প্র্যাকটিস করতে এসেছেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪ নম্বরে খেলা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে শুক্রবার নাইম শেখ গণমাধ্যমকে জানান, প্রকৃতপক্ষে তার পাঁচ নম্বরে খেলার কথা ছিল। কিন্তু জাকের আলী ব্যথা পাওয়ায় ওই পজিশনে নাইম শেখকে খেলানো হয়।

নাইম শেখ বলেন, ‘সত্যি বলতে জাকের চোটে পড়ায় চার নম্বরে খেলতে হয়েছে। আসলে পাঁচে খেলার কথা ছিল।’

এইটুকু বলে নাইম শেখ বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি আসলে চার নম্বরে খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তবে সামনের দিনে নিচের দিকে খেলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।

নাইম শেখ বলেন, ‘ওপেনিংয়ে খেলার জন্যই সবসময় প্রস্তুত থাকি। এখনও ব্যক্তিগত অনুশীলন করলাম যে, ওপেনিংয়ে কীভাবে খেলবো বা সুযোগ এলে কীভাবে কাজে লাগাবো। সত্যি বলতে, ওইটার (চারে খেলা) জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। পরবর্তীতে যদি এভাবে সুযোগ আসে, অবশ্যই মাথায় থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে এটা আমার ব্যক্তিগত অনুশীলন ছিল। যখন দল নিয়ে কথা হয়, তখন দলের ভেতরেই থাকা উচিত। আমি এখন পর্যন্ত ওই রকম (পাকিস্তান সিরিজে চার-পাঁচে খেলা) কিছু চিন্তাভাবনা করে আসিনি। আমার ব্যক্তিগত ট্রেনিং দরকার, তাই করতে এসেছি।’

নাইম শেখ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যত দিন খেলেছি, ওপেনার হিসেবেই ব্যাটিং করেছি। হুট করে চার নম্বরে নামলে কীভাবে খেলতে হয় বা মিডলঅর্ডাররা কী ধরনের চ্যালেঞ্জ বেশি মোকাবেলা করে, ওই জিনিসটা সাধারণত আমার জানা থাকে না। বাইরে থেকে অনেক সময় সহজ মনে হয়। এখন খেলে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো। পুরোপুরি ভিন্ন একটা জায়গা। সব জায়গা ট্রেনিংই করি। তবে এখন যেটা ছিল, পুরোপুরি নিজের প্রস্তুতির জন্যই ছিল।’

The post ছুটির দিনেও অনুশীলনে নাইম শেখ, লক্ষ্য পাকিস্তান সিরিজ appeared first on Bangladesher Khela.