শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে নতুন পরীক্ষায় নামে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের সেই পরীক্ষার প্রথম ম্যাচেই লেটার মার্ক পেয়ে পাশ করলো লিটন দাসের দল। সালমান আগার পাকিস্তান দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে তাসকিন-মুস্তাফিজদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১১০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ১৫.৩ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১১২ রান তুলে বাংলাদেশ।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ জয়। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানকে হারিয়ে ৯ বছরের খরা কাটিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপে ৫ উইকেটে জেতার পর দেশে কিংবা দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে দুই দেশের দ্বিতীয় সারির দলের লড়াইয়ে জিতেছিল বাংলাদেশ।
এর আগে বোলাররা অর্ধেক কাজ আগেই করে রেখেছিলেন। মোস্তাফিজ-তাসকিনের তোপের মুখে অল্প রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। রান তাড়ায় শুরুতেই জোড়া উইকেট হারালেও পারভেজ হোসেন ইমন আগলে রাখেন একপ্রান্ত। তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয় ও শেষে জাকের আলী। তাতে শেষ পর্যন্ত দাপুটে জয় পায় টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন ইমন।
রান তাড়ায় শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩ ওভারের মধ্যে ফিরে যান তানজীদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাস। এরপর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে এগোতে থাকেন ইমন। দুজনে মিলে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। ৩৭ বলে ৩৬ রান করা হৃদয় ফিরে গেলেও জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন ইমন। শেষদিকে ১০ বলে ১৫ রান করেন জাকের।
এর আগে শুরুতেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। পাওয়ার প্লেতেই সফরকারীদের ৪ উইকেট তুলে নেন টাইগার বোলাররা। দুই ওভার পর মোহাম্মদ নেওয়াজ রান আউট হয়ে দলকে আরও বিপদে ফেলেন। শুরুতেই দুইবার জীবন পাওয়া ফখর জামান একাই রানের চাকা সচল রাখছিলেন। রান আউটে কাটা পড়ার আগে ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন ফখর। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে ৩৩ রান যোগ করেন। এই জুটি ভেঙেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ ওভারে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান, দুই উইকেট নেন তাসকিন আর বাকিটা রান আউট। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আর ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ।
The post পাকিস্তানকে হারিয়ে ৯ বছরের খরা কাটাল বাংলাদেশ appeared first on Bangladesher Khela.