ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার তথাকথিত র্সোস দুলাল বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুলালকে টাকা দেয়ার কারণে তারাও পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। সুত্র জানিয়েছে, দুলাল কোতোয়ালী মডেল থানার এক প্রভাবশালী পুলিশ অফিসারের সোর্স। র্সোস এতোটাই প্রভাবশালী সে পুলিশের হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে সুবানা নামের এক মহিলাকে পিটিয়েছে!
সুত্র জানিয়েছে, গত ৫ আগষ্ট/২০২৫ থেকে ময়মনসিংহ শহরের পাটগুদাম হাজী কাশেম আলী কলেজের পিছনে জনৈক সুরমা গাজার ব্যবসা ছেড়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসেন। চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি যোগদান করার পর দুলাল সুরমাকে ফের মাদক ব্যবসা করার জন্য উৎসাহিত করে। ব্যবসা না করলে তাদের ধরে নেয়ার হুমকি দেয়। ব্যবসা করানোর জন্য নানান ভাবে সুরমার কাছ থেকে টাকা নেয়। সুরমা গাজাঁ বিক্রি করতো। বিভিন্ন সময়ে তাদের নামে একাধিক গাজাঁর মামলাও হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পর তার শখ্যের পুলিশ কর্মকর্তা থানায় যোগদান করার পর দুলাল সুরমাদের মাদক ব্যবসায় উৎসাহিত করে। দুলালের সাথে মাদক ব্যবসায়ী রেলীর মোড়ের নদীর পাড়ের হিমির সাথে সখ্যতা রয়েছে। ভৈরব রেল গেইটের মাদক ব্যবসায়ী সুর্বনার সাথেও রয়েছে সখ্যতা। কেওয়াটখালীর রেহেনার সাথেও দুলালের সখ্যতা কম নয়। এদের নামে ডজন ডজন মাদক মামলা রয়েছে। হাজী কাশেম আলী কলেজের পিছনে সুরমার মাদক স্পটে দুলালের তত্বাবধানে কম পক্ষে ২০ জন মাদক ব্যবসা করে।এসকে হাসপাতালের সামনে পারুলের মাদক ব্যবসা চলে দুলালের শেলটারে। দুলালের প্রতিমাসে লাখ টাকা কামাই আছে মাদক স্পট থেকে। এখন তাকে দিবসের বেশীর ভাগ সময় কোতোয়ালী মডেল থানায় দেখা যায়।
সম্প্রতি দুলাল পোড়হিত পাড়ার মাদক স্পটে আসাযাওয়া করে।এরা এক সময় পুলিশের নামে লাখ টাকা মাসোহারা দিতো! কোতোয়ালী থানায় দুলাল এখন প্রভাবশালী র্সোস। সে পুলিশের হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে সুবানা নামের এক মহিলাকে পিটিয়েছে। এ ব্যপার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ এস আই হুমায়ুন কবির তদন্ত করছেন।
সুবানা জানায়, দুলাল মিয়া (৫৫), কহিনূর (৫০), আনন্দ (২৭), মহন (২৫), গত ১৫ জুলাই সকাল আনুমানিক ৮.০০ ঘটিকার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র সঙ্গে সজ্জিত হয়ে সুবানার নিকট টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা সুবানার উপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় রুমন মিয়া (৪০), ও দিপু (৩০) ফেরাতে আসলে তাদের উপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাথারীভাবে বাইরাইয়া গুরুতর কাটা গুরুতর জখম করে। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে।
জগড়ার পরে দুপুরে জুথিকে ও তার জ্যাকে পুলিশ ধরলে দুলাল পুলিশের হাত থেকে লাঠি নিয়ে সুবানা পিটায়। পুলিশ আটক কৃতদের থানায় নিয়ে ৫০ গ্রাম করে হেরোইন দেখিয়ে মামলা ঠুকে দেয়। এত সুরমাকে পলাতক আসামী দেখানো হয়।
The post পুলিশের কাছ থেকে লাঠি নিয়ে সুবানাকে পিটালো র্সোস! appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.