দেড় বছর আগে স্বামীকে ছেড়ে দেয়ার পর, মুক্তাগাছার যুব মহিলা লীগ নেত্রী বহ্নিস্কার হওয়ার পরও আওয়ামীলীগের পক্ষ হয়ে ককটেল বিস্ফোরন ঘটাইয়া ত্রাস সৃষ্টি করিয়া অন্তর্ঘাতমূলক নাশকতা করে এবং কাউন্সিলের মঞ্চ ভাংচুর করার ঘটনায় জািড়ত থাকায় পুলিশ রহস্য জনক অন্তঃসত্বা তনুকে গ্রেফতার করেছে। সে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বাবু’র নেত্রীত্বে গত ৭ বছর মুক্তাগাছার সাধারন মানুষ টু শব্দটি পর্যন্ত করতে পারেনি। খুন, সন্ত্রাসী, চাদাবাজী, জমি দখল সবই হতো তার নেতৃত্বে। এই বাহিনীতে নারী সদস্য তনুসহ একাধিক মহিলা সদস্যও ছিল। এরা সবাই ছিলো স্থানীয় ভাবে বিতর্কিত। হোটেল রির্সোটসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ঘটনায় তারা পত্রিকায় বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে আরো সমালোচিত হন।
সুঠামদেহী সুন্দরী তনু গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে ছাড়াতে বিএনপি’র কতিপয় নেতা থানায় তদবির করেন। এছাড়াও জামিনে মুক্ত করার জন্য জনৈক শহিদুল চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এনিয়ে স্থানী বিএনপিতে ব্যপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মোঃ হারুন অর রশিদ হারুন (৪৮) ও ইসরাত জাহান তনু(২৮)কে ১৫ অক্টোর গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। ঘটনায় প্রকাশ পায়, খিলবাড়ী সমর মার্কেটের পূর্ব পাশে ঈদগাহ মাঠে জাতীয়তাবাদী দল ১নং দুল্লা ইউনিয়নের কাউন্সিল অধিবেশন চলাকালে অনধিকার প্রবেশ করিয়া এম খালেদ বাবু হুকুম দেয়, শালাদের কাউন্সিল অধিবেশন পন্ড করিয়া দে। উক্ত হুকুম পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাহাবুবুল আলম মনি, জামান, শুভ দে তাহাদের হাতে থাকা পিস্তল দিয়া ১০/১২ রাউন্ড গুলি করে এবং বিল্লাল হোসেন সরকার, আরব আলী ৭/৮ টি ককটেল বিস্ফোরন ঘটাইয়া ত্রাস সৃষ্টি করে, অন্তর্ঘাতমূলক নাশকতা করে এবং উক্ত কাউন্সিলের মঞ্চ, ছামিয়ানা, সোফা, চেয়ার-টেবিল, মাইক ও সাউন্ডবক্স দা, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল দিয়া কুপাইয়া, লোহার রড ও কাঠের হারক দিয়া বাইরাইয়া ভাংচুর করে। অতপর ইট পাটকেল ছুড়িলে উপস্থিত কাউন্সিল অধিবেশন হইতে লোকজন ও নেতা কর্মীরা দৌড়াইয়া কতক লোক চলে গেলে সহ অন্যান্য আসামীরা কাউন্সিল অধিবেশনে থাকা চেয়ার টেবিল, ছামিয়ানা তে কেরোসিন ও পেট্রোল ছিটাইয়া ম্যাচ দিয়া আগুনে পুড়াইয়া অনুমান ৬ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরন ঘটাইয়া ও গুলি করিয়া, আগুন দিয়া পুড়াইয়া জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করিয়া অন্তর্ঘাতমূলক নাশকতা করেছে।
পুলিশ জানায়, তদন্তে সন্দিগ্ধ আসামীদ্বয় মোঃ হারুন অর রশিদ হারুন (৪৮) ও ইসরাত জাহান তনু(২৮) উক্ত মামলার ঘটনায় জড়িত ছিল। বিভিন্ন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ স্বাক্ষ প্রমানের তথ্যের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় তদন্তে সন্দিগ্ধ আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করিয়া নিজ হেফাজতে নেন। ধৃত তদন্তে সন্দিগ্ধ আসামীদ্বয়কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে। প্রাথমিক তদন্তে উল্লেখিত আসামীদ্বয় মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। যাহা মামলা তদন্তে সহায়ক হইবে। মামলার তদন্ত অব্যাহত।
The post স্বামী পরিত্যক্তা অন্তঃসত্বা তনু নাশকতা মামলায় গ্রেফতার appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.