
মঠবাড়িয়া((পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় জয়নাল হত্যা মামলায় জড়িয়ে কলেজ ছাত্র সহ নিরীহ লোককে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্ত ভোগী পরিবার।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উপজেলা প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, উপজেলার তাফাল বাড়িয়া গ্রামের সোহরাবের ছেলে জয়নাল নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে গত ৫ অক্টোবর নিঁখোজ হন।
নিখোঁজের পরের দিন পার্শ্ববর্তী শরণখোলা উপজেলার কস্তুরা খালের মধ্যে জয়নালের মরদেহ উদ্বার করে তাফাল বাড়ী গ্রামে নিয়া আসা হয়।
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্বার করে পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠান। ঘটনাস্থল শরণখোলা থানাধীন হওয়ায় ওই থানায় জয়নালের পিতা সোহরাব মৃধা বাদী হয়ে গত ০৯ অক্টোবর ২৪’ ১১ জন এজাহার নামীয় ও ৮/৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করে ৩০২/৩৪ দন্ড বিধি ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্ত ভোগী পরিবারের পক্ষে সুখী আক্তার বলেন,পূর্ব শত্রুতার জেরে মামলার বাদী সোহরাব মৃধা ১নং আসামী আলামীন মাতুব্বরকে ঘায়েল করতে তিনি সহ তার ভাই জাহাঙ্গীর মাতুব্বর,আলম মাতুব্বর,সোবহান মাতুব্বর ও ইন্দুরকানী কলেজ পড়ুয়া তার ভাইয়ের ছেলেদেরসহ অজ্ঞাতনামা আরও নিরীহ লোককে মামলার আসামী করেছেন।
বিগত দিনে আলামীন মাতুব্বরের সাথে সোহরাব মৃধার ভাই রবিউলের সাথে আর্থিক লেনদেন নিয়ে জয়নাল মৃধা আলামীন মাতুব্বরকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছিল।
যার নাম্বার ৪২/১৭৯। উক্ত মামলায় জয়নালের পিতা সোহরাব মৃধা ৮ দিন জেল হাজতেও ছিলেন। জয়নাল হত্যা মামলায় ২য় সাক্ষী সোহরাব মৃধার ছোট ছেলে সোহেল মৃধা ও ৩য় সাক্ষী সালাম খাঁ।তারা আলামীন মাতুব্বরসহ অন্য কোন আসামীকে তাদের ট্রলার থেকে নামতে বা জয়নালকে আঘাত করতে দেখেনি।
আমার প্রশ্ন জয়নালের শ্বশুর গণমাধ্যম কর্মীদের জয়নাল হত্যার যে নামগুলো জানিয়ে ছিলেন তাদের মধ্য থেকে লাল মিয়া মাতুব্বরকে কেন আসামী করা হয়নি? আর পাথরঘাটা উপজেলার কাঠাতলীর যাদেরকে আসামী করেছেন তারা হয়তো কখনোই নদীর তীরে জাননি।
এমনিক ৩নং সাক্ষী সালাম খাঁ কে সাক্ষী না দিলে এই মামলায় আসামী করা হবে বলেও হুমকি প্রদান করেছেন বাদী সোহরাব মৃধা। মামলার ৯নং সাক্ষী আজিজুল হক লিটন পেশায় জেলে নয়, তাহলে তিনি ৫ অক্টোবর নদীতে কি করতে গিয়েছিলেন?।
এছাড়া জয়নাল হত্যা মামলায় ইন্দুরকানি উপজেলার যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা কলেজ ছাত্র। কলেজ ছাত্রদেরকের আসামী করে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে।
জয়নাল হত্যা মামলার বাদী সোহরাব মৃধা মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। আমরা চাই জয়নাল হত্যার জড়িত নিরাপরাধ কাউকে যেন হয়রানি করা না হয় এবং প্রকৃত দোষীরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শান্তি পায়।
তাছাড়া জয়নাল কিভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হলেন তা একমাত্র ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাবে না, বিষয়টি এখনো রহস্যজনক।
সে কারণে মামলার জড়িত নিরীহ আল-আমীন ও তার ভাই এবং ভাইয়ের কলেজ পড়ুয়া ছেলেসহ অন্যান্যদের যাতে পুলিশী হয়রানি করা না হয় ।
এ সময় কলেজ ছাত্র রুবেল মাতুব্বর রাসেল মাতুব্বারের মা ও জাহাঙ্গীরের স্ত্রী মিনারা বেগম আসামী সাজাহানের স্ত্রী চন্দঁবান বেগম উপস্থিত ছিলেন।
The post মঠবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.