
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবেলায় ঝালকাঠিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র। বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে মানুষের আশ্রয়ের জন্য ৮২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৩৭টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের আটটি উদ্ধারকারী দল।
এছাড়া নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং জরুরি মুহূর্তে বিতরণের জন্য ৪০০ মেট্রিকটন চাল মজুদ আছে।
জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্ব সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কাওছার হোসেন, সিভিল সার্জন এইচ এম জহিরুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ উপকূলের ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসায় দেশের চার সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুধবার দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড় দানা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল।
সে সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে
The post ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবেলায় ঝালকাঠিতে প্রস্তুত ৮৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.