
ময়মনসিংহে তেত্রিশটি ওয়ার্ডে মাদকে ছেয়ে গেছে বলে ময়মনসিংহ বাসী তীব্র ক্ষোভে অভিযোগ করে এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অস্হিরতার সুযোগ নিচ্ছে চুনোপটি মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে রাঘব বোয়াল মাদক কারবারিরা কোমর বেঁধে মাদকের ময়দানে নেমে গেছে। জানা গেছে, কিছু অসৎ পুলিশ সদস্য এবং মাদক ফিল্ডের কারবারি-ব্যবসায়ীরা এই মাদক ব্যবসার নাম দিয়েছে পারস্পরিক সমঝোতা বা কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট বিজনেস ফর ড্রাগস।
এর ফলে কিছু অসৎ পুলিশ সদস্য আগে থেকেই মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সমঝোতা করে নেয় পুলিশ সদস্যরা মাদক ব্যবসায়ীদের ধরবে এবং থানা পর্যন্ত না গিয়ে ওন দ্যা স্পট নগদ টাকার লেনা-দেনার মাধ্যমে কর্ম শেষ করে দেবে যা উর্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি চোখের আড়ালেই থেকে যাবে এবং হচ্ছেও তাই।
ময়মনসিংহের এসপি তারই বাহিনীর মাধ্যমে এই অনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকার পরও কিছুই জানতে পারছেননা এটা দুঃখজনক বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন ময়মনসিংহবাসী।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ সিটি এলাকায় তেত্রিশটি ওয়ার্ডেই চলছে বিভিন্ন নামে ছোট-বড় মাদক ব্যবসা। তার একমাত্র কারণ ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানা পুলিশ ফাঁড়ি সহ বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে যে সকল ছোট-বড় পুলিশ কর্মকর্তারা নিয়োজিত আছেন তারা দীর্ঘদিন একই পুলিশ স্টেশনে কাজ করার সুবাদে বিভিন্ন অপরাধী মাদক কারবারী অপ-ব্যবসায়ীদের সাথে বন্ধুত্ব স্হাপনের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তারা মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও লক্ষ টাকায় ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে স্পটেই রফাদফা সেড়ে ফেলে। মাদক ব্যবসায়ীদের আর কোতোয়ালী থানা পর্যন্ত যেতে হয়না। আর যদি কাউকে থানা কিংবা জেলখানা পর্যন্ত যেতেই হয় তাহলে খুবই হালকা একটা চার্জসীট দেয়া হয় যেখানে খুব বেশী হলেও সাতদিন পরেই বীরদর্পে মাদক ব্যবসায়ী জেল থেকে জামিনে বের হয়ে চলে আসে।
এ ব্যপারে ময়মনসিংহবাসী জানান পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলীর বিষয়টিও খুব রহস্যজনক। অনেকটা এক নম্বর টিএসআই বদলী হলে বড় জোর তিন নম্বর ফাঁড়ির টিএস আই। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি বদলী হলে বড়জোর মাসতিনেকের জন্য ফুলপুর অথবা প্রায় একই মেয়াদে তারাকান্দা আর পুলিশ পরিদর্শকরা ময়মনসিংহের ভিতরেই ঘুরাঘুরি করতে থাকেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ময়মনসিংহ পুলিশের প্রশাসনিক অব্যবস্হাপনার ফলে মাদক ব্যবসা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে দিনকে দিন!
ময়মনসিংহের ডিবির এস আই আলাউদ্দিন এমনি এক পুলিশ কর্মকর্তা যিনি কয়েকদিন আগেও ডিবিতে ছিলেন পরে কোতোয়ালি থানা হালুয়াঘাট থানা প্রভৃতিতে বদলীর পর এখন পুনরায় এসেছেন ময়মনসিংহ ডিবি অফিসে। জানা গেছে, ডিবি এসআই আলাউদ্দিন ময়মনসিংহের সকল অপরাধীর সাথেই বন্ধুত্ব করে এসেছে ফলে অবৈধ কালো টাকা তার দুই পকেটেই নাকি আপসে আপ এসে যায়।
জানা গেছে, গত ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ভোরে নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের পালপাড়া থেকে ডিবির এস আই আলাউদ্দিন মাদক ব্যবসায় গ্রেফতার হওয়া জহিরুল ইসলামকে প্রায় লক্ষ টাকা কন্ট্রোল ম্যানেজম্যান্টের নামে হাতিয়ে নেয়।
এদিকে একই এলাকায় ভৈরব রেললাইনের পাশে নারী ইয়াবা ব্যবসায়ী সুর্বণার সাথে মাদকের পার্টনার অনেকে। অন্যদিকে কথিত মাদক সম্রাট ময়মনসিংহের হামে তার নামে একটি মাদক স্পট করেছে যার নাম “কেওয়াটখালী হামের স্পট” এবং মাদক ব্যবসায়ী রেহানা তার নামেও একটি নারী মাদক স্পট তৈরি করেছে বলে জানা গেছে।
একটি সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ ডিবির এস আই আলাউদ্দিনের সাথে চমৎকার সম্পর্ক বলবৎ থাকার জন্যেই ময়মনসিংহের ১৮ এবং ১৯ নং ওয়ার্ড দুটো মাদকের অপব্যবহারে সয়লাব হয়ে গেছে। সেখানকার শিক্ষার্থীরা বর্তমানে মাদকে আসক্ত হয়ে পরছে। ময়মনসিংহবাসীর ধারনা মাঠের পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অপরিসীম অবহেলা এবং যুগপৎ আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণেই স্হানে- স্হানে অপব্যবহার চরম সুআকার ধারন করেছে । পূর্বে এমন ছিলোনা। যার ফলে অন্যান্য অপরাধ কার্য্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটছে।
ময়মনসিংহবাসী অবিলম্বে কথিত মাদক সম্রাট হামে এবং মাদক ব্যবসায়ী রেহানা, সুর্বনা, জহিরুল,ফয়সাল, সহ যারা প্রকাশ্যে ময়মনসিংহে মাদক ব্যবসা করার ধৃষ্টতা দেখিয়ে চলছে সেই মাদক সিন্ডিকেটকে ধ্বংস করে দূমড়ে মুচড়ে দেওয়া সহ ময়মনসিংহ পুলিশের এস আই ডিবি পুলিশের এস আই আলাউদ্দিন সহ অন্যান্য জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান সহ ময়মনসিংহকে মাদকমুক্ত করার জন্য ময়মনসিংহের জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি জোড়ালো আহবান জানিয়েছেন সচেতন ময়মনসিংহবাসী।
The post কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পুলিশ! appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.