ঘরোয়া লিগে শুধু আম্পায়ারিং নয় ক্রিকেটারদের আচার-আচরণ নিয়েও ভাবছে বিসিবি। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তগুলোকে শতভাগ নির্ভুল বলছেন না এ কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান। তবে সিদ্ধান্তের বিপরীতে অতি আক্রমণাত্মক মনোভাব ও ক্ষোভ প্রকাশের ধরণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে দাবি।
অন্যবারের তুলনায় কম অথবা বেশি, ঘরোয়া লিগের মর্যাদার আসর এনসিএল এবারও আম্পায়ারিং ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়েছে। ইমরুল কায়েসের এমন রান নিয়ে প্রশ্ন উঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মেজাজ হারিয়েছেন এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আবার অন্য ঘটনায় বাজে ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নুরুল হাসান।

রান আউটের কারণে সেঞ্চুরি মিস! পারভেজ ইমনের হতাশা প্রকাশের ধরণও ছিল দৃষ্টিকটু। আম্পায়ারিংয়ের সঙ্গে ক্রিকেটারদের এমন আচরণ তাই ভাবাচ্ছে বোর্ড কর্তাদের।

বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান বলেন, আমি এটা গ্যারান্টি দিতে পারি কোনো আম্পায়ারের ইনটেনশনালি কোনো আউট দিচ্ছে না, ভুল করতেছে। ডিস স্যাটিসফ্যাকশন দেখানোর জন্য আমাদের কিন্তু সিস্টেম আছে খেলোয়াড়দের আরও সহনশীল হওয়া উচিত। বিশেষ করে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়।

ঘরোয়া লিগের নীতিমালায় বাজে আচরণের জন্য ডিমেরিট পয়েন্টের সময়সীমা ১ বছর। কিন্তু এক লিগের ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়না অন্য লিগে। অর্থাৎ ডিপিএল, এনসিএল, বিসিএল এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএলে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় আলাদা আলাদা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জন্য ভিন্ন কিছুর পরিকল্পনা করছে বিসিবি।
ইফতেখার রহমান আরও বলেন, টুর্নামেন্ট কমিটি, বোর্ড অনেক সিরিয়াস। যেভাবেই হোক আমাদের এগুলো বন্ধ করতে হবে। আমি আম্পায়ারদের পক্ষে বলছি না। কিন্তু কথা হচ্ছে যে এটা প্রেসার ট্যাকটিস।

আম্পায়ারদের উন্নতির কথা বললেও লক্ষ্যে চেয়ে অনেক দূরে, এমন স্বীকারোক্তি এ কমিটির চেয়ারম্যানের। মাঠে অখেলোয়াড় সুলভ আচরণের জন্য নেতিবাচক প্রভাব পরে বলে দাবি তার।

বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ফরম্যাশনটা বাহিরে যাবে। ওরাও তো মনিটরিং করে। এগুলো হলে আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মত ঘরোয়া লিগে থার্ড আম্পায়ার ও ডিআরএস যুক্ত না হলে বিতর্ক যে সহসাই থামবে না মত ইফতেখার রহমানের।

 

The post আচার-আচরণ নিয়েও ভাবছে বিসিবি appeared first on Bangladesher Khela.