ছোট ভাইকে কুপিয়ে আহত করার বিচার দাবি ও চাঁদা না দিয়ে ডাকাতির শিকার হয়েছেন নগরীর ব্যবসায়ী মোঃ শহীদ খান। থানায় জিডি, মামলা এমনকি যৌথবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ করে কোন বিচার না পেয়ে এখন নিজের জীবন নিয়েই হুমকিতে পড়েছেন তিনি। অস্ত্র ঠেকিয়ে দিনে দুপুরে দোকান ভাঙচুর করে সোনাডাঙ্গা এলাকার ক্লাসিক বোর্ড সেন্টারের সত্বাধিকারী মোঃ শহীদ খানের কাছ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে সোনাডাঙ্গার সৈয়দ আলী হোসেন সড়কে ক্লাসিক বোর্ড সেন্টারে অস্ত্রের মুখে দোকানের কর্মচারীদের জিম্মি করে ৬ ডাকাত এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ডাকাতদের মধ্যে দোকানের কর্মচারীরা সাগর ওরফে হাড্ডি সাগর ছিল বলে নিশ্চিত করেছে।
দোকানের সিসিটভি ফুটেজে দেখা যায়, দুপুর ২টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিহিত ৬ জন দুবৃত্ত দোকানের সামনে এসে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে দোকান থেকে কর্মচারীদের বের করে দেয়। এসময় দোকানের থাইগ্লাস, কম্পিউটার, টেবিলে রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এক পর্যায়ে তারা ড্রয়ার থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
দোকানের ম্যানেজর আব্দুল কাদের জানান, বৃহস্পতিবার থাকায় সপ্তাহের কালেকশনসহ আজকে বোর্ড বিক্রির ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর নগরীর সোনাডাঙ্গা মেইন রোড, হরিজন কলোনী এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শামিম পারভেজ ও রানা নামে দুই যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। এরপর রানার বাবা আবুল হোসেন খান বাদী হয়ে কিশোরগ্যাং থেকে সন্ত্রাসী বনে যাওয়া সাগর ওরফে হাড্ডি সাগরসহ ৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে রানার ভাই ব্যবসায়ী মোঃ শহীদ খানকে হুমকি দিতে থাকে সাগর ও তার বাহিনীর কয়েকজন। এসব ঘটনায় ১৮ অক্টোবর সাগর ও আরিফ নামে আসামীর নামে আবারও জিডি এবং ২২ অক্টোবর র্যাব ও ডিবির কাছে আবারও লিখিত অভিযোগ করে শহীদ খান। তবে অভিযোগ দেয়ার পর আরও বেপরোয়া হয়ে যায় হাড্ডি সাগর ও তার অনুসারীরা। চাঁদা দেইনি বলে অস্ত্র ঠেকিয়ে সব লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
ক্লাসিক বোর্ড সেন্টারের সত্বাধিকারী মোঃ শহীদ খান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে হাড্ডি সাগর আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি দিচ্ছিলো। আমার দোকানে এসে আমার কাছে চাঁদা দাবি করেছে। আমি থানায় জিডি করেছি, আর্মির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি কিন্তু কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু এখন অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার কর্মচারীদের জিম্মি করে আমার ব্যবসায় টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এখন নিজের জীবন নিয়েও ঝুঁকিতে আছি।
ঘটনার খবর পেয়ে খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবীর, সোনাডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত মাসুম বিল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কেএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, একজন ব্যবসায়ীর দোকান লুট হয়েছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। এর সাথে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসার সবরকম প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ
The post চাঁদা না দেয়ায় ডাকাতির শিকার খুলনার ব্যবসায়ী appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.