7:30 pm, Saturday, 23 November 2024

‘বাজারে ৮০০ টাকা এনেও রসুন কিনতে পারি নি’

‘এখন শীতের সময় সবজির দাম কম থাকা উচিৎ, আমি আজ ৮০০ টাকা বাজারে আনছি, সবজি কিনতেই টাকা শেষ, এখনো রসুন কিনতে পারিনি। ছোট একটা লাউ ৮০ টাকা, শিম কিনছি ১০০ টাকা করে আলুর কেজি ৮০ টাকা প্রতিটা পণ্যই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।’ এভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথা বলছিলেন বিল্লাল হোসেন।

প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্যের উত্তাপে নিষ্পেসিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই। একটি পণ্যের দাম কমলে বাড়ছে অন্যটির। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের মধ্যে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ পরিবারে জুটছে না একবেলা আমিষ। কাঁচাবাজার নিয়ে এমনটাই অভিযোগ ভোক্তাদের।

শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। এ সময় সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র, এখনও বাজার চড়া। দু-একটি সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।

নগরীর চিত্রালী বাজার, নিউমার্কেট কাঁচা বাজার ও কেসিসি সন্ধা বাজার ঘুরে দেখা যায়, লালশাক বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে, পালং শাক ৮০-৯০ টাকা, লাউ শাক ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, মানভেদে শশা ১০০-১২০ টাকা, মূলা ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, ফুলকপি ১০০-১২০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, আলু ৭০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, রসুন ২৫০-২৬০ টাকা, আদা ১৬০ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ও ইন্ডিয়ান ১২০ টাকা, করোলা ১০০ টাকা, মরিচ ১২০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মান ও সাইজ ভেদে লাউ ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা।

এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও রয়েছে সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাহিরে, এমনটাই অভিযোগ ক্রেতাদের।

ব্যবসায়ীদের দাবি, সম্প্রতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসল। এতে বাজারে কমে গেছে সবজির সরবরাহ। ফলে দাম কিছুটা উর্ধ্বমুখী। নতুন সবজির সরবরাহ এখনও চাহিদা অনুযায়ী বাড়েনি। তাই দাম বেশি। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম।

নগরের চিতালী বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, অধিকাংশ সবজির দামই কমেছে। শুধুমাত্র দু-একটা সবজি নতুন আসছে বলে দাম একটু বাড়ছে। আমরা বরবটি আগে বিক্রি করছি ১২০ টাকায় এখন ৮০ টাকা কেজি। বেগুনের দাম ১৫০ টাকা পর্যন্ত উঠছিলো এখন ১০০ টাকা। ফুলকপি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে, আমরা বিক্রি করছি ৮০ টাকা কেজিতে। আগে মরিচ ছিলো ৮০ টাকা পোয়া এখন কেজি ১০০ টাকা। আর দাম বাড়ার একটা কারন হলো চাহিদার চেয়ে আমদানি কম।

বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা নুরুন্নবী’র সাথে কথা হয় খুলনা গেজেটের। তিনি বলেন, সবকিছুরই দাম বেশি। আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে, সমস্যাটা আমাদের ব্যবসায়ীদের কোন সমস্যা হয় না। ব্যবসায়ীরা বলে বাজারে মাল নেই।

খুলনা গেজেট/এএজে

The post ‘বাজারে ৮০০ টাকা এনেও রসুন কিনতে পারি নি’ appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.

Tag :

‘বাজারে ৮০০ টাকা এনেও রসুন কিনতে পারি নি’

Update Time : 04:07:16 pm, Saturday, 23 November 2024

‘এখন শীতের সময় সবজির দাম কম থাকা উচিৎ, আমি আজ ৮০০ টাকা বাজারে আনছি, সবজি কিনতেই টাকা শেষ, এখনো রসুন কিনতে পারিনি। ছোট একটা লাউ ৮০ টাকা, শিম কিনছি ১০০ টাকা করে আলুর কেজি ৮০ টাকা প্রতিটা পণ্যই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।’ এভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথা বলছিলেন বিল্লাল হোসেন।

প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্যের উত্তাপে নিষ্পেসিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই। একটি পণ্যের দাম কমলে বাড়ছে অন্যটির। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের মধ্যে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ পরিবারে জুটছে না একবেলা আমিষ। কাঁচাবাজার নিয়ে এমনটাই অভিযোগ ভোক্তাদের।

শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। এ সময় সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র, এখনও বাজার চড়া। দু-একটি সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।

নগরীর চিত্রালী বাজার, নিউমার্কেট কাঁচা বাজার ও কেসিসি সন্ধা বাজার ঘুরে দেখা যায়, লালশাক বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে, পালং শাক ৮০-৯০ টাকা, লাউ শাক ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, মানভেদে শশা ১০০-১২০ টাকা, মূলা ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, ফুলকপি ১০০-১২০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, আলু ৭০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, রসুন ২৫০-২৬০ টাকা, আদা ১৬০ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ও ইন্ডিয়ান ১২০ টাকা, করোলা ১০০ টাকা, মরিচ ১২০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মান ও সাইজ ভেদে লাউ ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা।

এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও রয়েছে সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাহিরে, এমনটাই অভিযোগ ক্রেতাদের।

ব্যবসায়ীদের দাবি, সম্প্রতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসল। এতে বাজারে কমে গেছে সবজির সরবরাহ। ফলে দাম কিছুটা উর্ধ্বমুখী। নতুন সবজির সরবরাহ এখনও চাহিদা অনুযায়ী বাড়েনি। তাই দাম বেশি। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম।

নগরের চিতালী বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, অধিকাংশ সবজির দামই কমেছে। শুধুমাত্র দু-একটা সবজি নতুন আসছে বলে দাম একটু বাড়ছে। আমরা বরবটি আগে বিক্রি করছি ১২০ টাকায় এখন ৮০ টাকা কেজি। বেগুনের দাম ১৫০ টাকা পর্যন্ত উঠছিলো এখন ১০০ টাকা। ফুলকপি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে, আমরা বিক্রি করছি ৮০ টাকা কেজিতে। আগে মরিচ ছিলো ৮০ টাকা পোয়া এখন কেজি ১০০ টাকা। আর দাম বাড়ার একটা কারন হলো চাহিদার চেয়ে আমদানি কম।

বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা নুরুন্নবী’র সাথে কথা হয় খুলনা গেজেটের। তিনি বলেন, সবকিছুরই দাম বেশি। আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে, সমস্যাটা আমাদের ব্যবসায়ীদের কোন সমস্যা হয় না। ব্যবসায়ীরা বলে বাজারে মাল নেই।

খুলনা গেজেট/এএজে

The post ‘বাজারে ৮০০ টাকা এনেও রসুন কিনতে পারি নি’ appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.