চড়াই ভিটা পিকে দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার একটি কক্ষে ৩য়,৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ১৯ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
দিওড় ইউনিয়নের ঝানজার দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কক্ষে ৫ম শ্রেণীর শুধু ১ ছাত্রী উপস্থিত।এর আগে ২৮ অক্টোবর উক্ত মাদ্রাসার এবতেদায়ি শাখায় ৪ জন শিক্ষক থাকলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল একেবারে শূন্য। একারণে তালাবদ্ধ থাকে শ্রেণিকক্ষগুলো। স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষার মান ভালো না হওয়ায় মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থী আসছে না।
এছাড়াও বিরামপুর শালবাগান মহিলা দাখিল মাদ্রাসা গত ১৭ নভেম্বর দুপুরের পর মাদ্রাসা বন্ধ করে সকলে চলে যায়। এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শমসের আলী মন্ডলের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন মাদ্রাসাগুলোতে দুপুরের পর আর ক্লাস করায় না এবং সপ্তাহে একদিন হাফ ক্লাস করায়।
এবতেদায়ি শাখায় কোনো শিক্ষার্থী না এলেও হাজিরা খাতায় উপস্থিতি দেখানো হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই শিক্ষার্থী শূন্য।জানতে চাইলে ঝানজার মাদ্রাসার এবতেদায়ি শাখার প্রধান মোখলেছুর রহমান বলেন,পাশেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, সেগুলোতে উপবৃত্তি সুবিধা থাকায় শিক্ষার্থীরা সেদিকে যাচ্ছে।তবে হাজিরা খাতায় উপস্থিতির বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার এবতেদায়ি শাখায় শিক্ষার্থী নেই। হাজিরা খাতায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের অনেকে অন্যত্র পড়াশোনা করছে।মাদ্রাসায় শিক্ষার মান খারাপ হওয়ায় স্থানীয় শিক্ষার্থীরা এখানে আসতে অনাগ্রহী।
এবছর উপজেলায় মাদ্রাসার বোর্ডে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ছিল বিরামপুর উপজেলা। দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে এবতেদায়ী শাখার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান না করার কারণ দেখানোর পাশাপাশি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের তদারকি না থাকাকে দায়ী করেন সচেতন মহল।
বিরামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের আলী মন্ডল বলেন, দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থী কম হয়ে থাকে। শিক্ষার্থী বাড়ানোর বিষয়ে শিক্ষকদের আমরা বলে থাকি কিন্তু কোন লাভ হয় না।