সাতক্ষীরা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর সময় অপদ্রব্য পুশকৃত ১ হাজার ১২২ কেজি বাগদা ও গলদা চিংড়িসহ ৫ হাজার ১৩২ কেজি বাগদা, গলদা ও সাদা মাছ আটক করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা চেক পোস্ট থেকে এসব মাছ জব্দ করে বিজিবি। এসময় অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা ও গলদা চিংড়িগুলো আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। এছাড়া বাকী মাছগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
এসময় অপদ্রব্য পুশকৃত মাছ বাজারজাতকরণের দায়ে মো. আরিফ হোসেন (২২) নামে এক ব্যবসায়ীকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের জহুরুল মোড়লের ছেলে।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা জানতে পারে যে, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা ও গলদা চিংড়ি মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে খুলনা হয়ে ফেনী, চট্টগ্রাম ও সিলেট পাঠাচ্ছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এর নির্দেশে সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ রানা ও নায়েক সুবেদার মো. শামীম আলম এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা চেকপোস্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিন ট্রাক গলদা/বাগদা চিংড়ি ও দেশীয় বিভিন্ন প্রকার সাদা মাছ আটক করে।
পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস, বিজিবি’র সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ রানা ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতঃ ১ হাজার ১২২ কেজি বাগদা ও গলদা চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করা মর্মে সনাক্ত করে। অপদ্রব্য পুশকৃত এসব মাছ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় তা আগুনে পুঁড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া জব্দকৃত মাছের মধ্যে অপদ্রব্য পুশ ব্যতীত ২৫০ কেজি বাদগা ও গলদা চিংড়ি এবং ৩ হাজার ৭৬০ কেজি দেশীয় বিভিন্ন প্রকার সাদা মাছ নিলামে বিক্রি করা হয়। একই সাথে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অপদ্রব্য পুশকৃত মাছ বাজারজাতকরণের দায়ে ব্যবসায়ি মো. আরিফ হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মো. আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে
The post বিজিবির অভিযানে অপদ্রব্য পুশকৃত ১১২২ কেজি চিংড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীর কারাদন্ড appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.