ময়মনসিংহের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তার দাপটে ময়মনসিংহ সদর এলাকাসহ ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারের এলাকার মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সহ জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করে চরাঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার যুগপৎ অনুরোধ ও দাবী জানিয়েছেন।
অভিযোগে প্রকাশ আনোয়ার দারোগা বলে এই ব্যক্তি বিভিন্ন অপরাধে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন পুরো আওয়ামী লীগের শাসনামলের পনের বছরের অধিক সময়।
জানা গেছে, প্রবল দূর্ণীতি আক্রান্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলের এই দিন গুলোতে ময়মনসিংহ জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি পদ ভাগিয়ে নিয়ে আনোয়ার দারোগা যেখানে টাকার গন্ধ পেয়েছে সেখানেই ছুটে গিয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে,ব্রহ্মপুত্র নদের এপাড়ে যে সিলভার ক্যাসেল রয়েছে ঠিক সোজাসুজি নদের ওপাড়ে রয়েছে আনোয়ার দারোগার শতকোটি টাকা মূল্যের একটি জাঁকজমক অত্যাধুনিক ইস্টার্ন হেরিটেজ রিসোর্ট!
আনোয়ার দারোগার সেই রিসোর্ট থেকে ফিরে আসা এক ভদ্রলোক জানান, এই রিসোর্টে একবার কেউ গিয়ে থাকলে ভুলেও আর কেউ যাবেনা। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন আনোয়ার দারোগার এই রিসোর্টে শুধু মেয়েদের ছড়াছড়ি।
জানা গেছে, আনোয়ার দারোগার রিসোর্টে সারারাত্র পতিতা ব্যবসা চলে। আধুনিক পতিতাদের নাকি ময়মনসিংহ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে চড়াদামে নিয়ে আসা হয়। অভিযোগে জানা গেছে, প্রাকৃতিক পরিবেশে আনোয়ার দারোগার এই রিসোর্টে চলে জলসা।
এদিকে স্হানীয় বাসী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানান, পল্লীগ্রামে এই অসভ্যতার কারণে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা এই বেলেল্লা পনা বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্হার উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এদিকে ময়মনসিংহের সচেতন মহল জোড়ালো দাবী তুলে জানান কিছুদিন আগেও বিভিন্ন হোটেল রিসোর্টে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অসংখ্য নারীদের অসামাজিক কার্যকলাপ রত অবস্হায় গ্রেফতার করেছিলো কিন্তু আজ পর্যন্ত ময়মনসিংহ বাসী শোনেননি আনোয়ার দারোগার রিসোর্টে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে।
কেন সব জেনে শুনেও পুলিশ এই রিসোর্টে অভিযানে নামেনা ময়মনসিংহের সচেতন মহল এটা জানতে চান।
জানা গেছে, আওয়ামীলীগের টানা ষোল-সতের বছর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার দারোগা ফুলে ফেঁপে উঠেছিলো কারণ ওই সময়টাতে তো কাউকে কৈফিয়ত দিতে হতোনা। জবাব দীহিতারও লেশ মাত্র ছিলোনা।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই সময়ে আনোয়ার দারোগা ময়মনসিংহ সিএসডি তে সিএসডি শ্রমিকলীগের সভাপতি ছিলেন ফলে তখন থেকেই সি এস ডিকে আনোয়ার দারোগা নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে ভাবতে শুরু করেন। সেই সাথে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা! আর এসব করতে গিয়ে তিনি তৎকালীন ধর্মমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে চলতেন সেই সাথে সি এস ডি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে সব সময়ই অশোভন আচরণ করতেন।
জানা গেছে, সিএসডিতে কামাল নামের এক খাদ্য পরিদর্শক আনোয়ার দারোগার এই অশোভন আচরণ ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে আনোয়ার দারোগা তৎকালীন ধর্মমন্ত্রীর ভাই আফাজের মাধ্যমে কামালকে হুমকি দেওয়ান এবং প্রাননাশের হুমকি দিয়ে কামালকে সাবধান হয়ে যেতে বলেন।
ময়মনসিংহ বাসী বলেন আনোয়ার দারোগার অপকর্ম নারী লিপ্সা টাকার পাহাড় তৈরি এমনকি বাটপারি মদ্যপায়ীর কথা বলে শেষ করা যাবেনা বরং আনোয়ার দারোগার বিরুদ্ধে তার সব অপরাধ অপকর্মের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ দূর্ণীতি দমন কমিশন দূদক সহ জেলা পুলিশ সর্বপোরি জেলা গোয়েন্দা শাখার সবগুলো উইংয়ের আইনানুগ তদন্ত করে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানানো হয়েছে । তবে বর্তমানে তিনি পলাতক থাকায়, এ বিষয়ে কোন মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
The post রিসোর্ট নয়! এযেন আওয়ামীলীগ নেতার মিনি পতিতালয় appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.