11:51 pm, Thursday, 12 December 2024

কয়রা উপকূলের মোড়ে মোড়ে পিঠার পসরা

খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রায় শীতের শুরুতে রাস্তার পাশে, বাজারে, বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আবার বাড়ির সামনে বসে পিঠা বিক্রি করছেন দোকানিরা। শীতে পিঠা বিক্রিকে অনেকেই বাণিজ্যিক হিসেবে বেছে নিয়েছেন শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে তারা। শীতের পিঠা নজর কাড়ছে পিঠা প্রেমিকদের। আছর থেকে গভীররাত পর্যন্ত চলছে পিঠা বিক্রির ধুম। বসে অথবা লাইন দিয়ে দাড়িয়ে পিঠা খেতে দেখা যায় পিঠা প্রেমিকদের।

শীত মৌসুমে প্রতিটি বাড়িতে পিঠাপুলি বানানোর অয়োজন গ্রাম বাংলার চিরচারিত রীতি। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ঘরে ঘরে পিঠাপুলি তৈরির আয়োজন এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ব্যস্ততা ও পারিপার্শ্বিক সমস্যায় নিজ হাতে পিঠাপুলি তৈরির আয়োজন কমে গেলেও পিঠাপ্রিতি ও ভোজন কিন্তু থেমে নেই।

সরজমিনে কয়রা সদর, বামিয়া সরদারবাড়ি মোড়, বামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, গিলাবাড়ি বাজার,ভান্ডারপোল বাজার, আমাদী বাজার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাশবর্তী মোড়ে, সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, চুলার অল্প আঁচে ধোঁয়া উঠছে। তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু পিঠা। পিঠা খেতে নজর কাড়ছে পিঠা প্রেমিকদের কেউ লাইন দিয়ে অথবা বসে গরম পিঠা খাচ্ছে। অনেকেই পরিবারের জন্য পিঠা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।

এসময় কয়রা সদর থেকে পিঠা ক্রেতা মোঃ ফরহাদ হাওলাদার বলেন, সন্ধ্যায় সময় মাঝে মধ্যে ২/১ পিঠা কিনে খায়। গরম পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে।

ভান্ডারপোল গ্রামের মোঃ মফিজুল ইসলাম শেখ বলেন, শীতের সময় বাজারে এসে বন্ধু বান্ধব মিলে ঠিক খাই। শীতের সন্ধ্যায় পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। প্রতিবছর আমাদের বাজারে শীত কালে পিঠা বিক্রি হয়।

গিলাবাড়ি গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান বাবু বলেন, পরিবারের জন্য বাজার থেকে ১২ পিছ পিঠা কিনলাম। বাড়িতে তৈরি করতে গিলে অনেক খরচ পড়ে। তারথেকে বাজার থেকে কিনে খেলাম।

জায়গীর মহল হাসপাতাল মোড়ে ঠিক বিক্রেতা আঃ গফুর গাজী বলেন, আমি প্রতিবছর শীতের সময় সন্ধ্যায় পিঠা তৈরি করে বিক্রি করেথাকি। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে ৫০০ টাকার মতো আয় হচ্ছে। আমার মতো অনেকেই শীতে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালায়।

খুলনা গেজেট/এমএম

The post কয়রা উপকূলের মোড়ে মোড়ে পিঠার পসরা appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.

Tag :
জনপ্রিয়

কয়রা উপকূলের মোড়ে মোড়ে পিঠার পসরা

Update Time : 09:07:09 pm, Thursday, 12 December 2024

খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রায় শীতের শুরুতে রাস্তার পাশে, বাজারে, বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আবার বাড়ির সামনে বসে পিঠা বিক্রি করছেন দোকানিরা। শীতে পিঠা বিক্রিকে অনেকেই বাণিজ্যিক হিসেবে বেছে নিয়েছেন শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে তারা। শীতের পিঠা নজর কাড়ছে পিঠা প্রেমিকদের। আছর থেকে গভীররাত পর্যন্ত চলছে পিঠা বিক্রির ধুম। বসে অথবা লাইন দিয়ে দাড়িয়ে পিঠা খেতে দেখা যায় পিঠা প্রেমিকদের।

শীত মৌসুমে প্রতিটি বাড়িতে পিঠাপুলি বানানোর অয়োজন গ্রাম বাংলার চিরচারিত রীতি। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ঘরে ঘরে পিঠাপুলি তৈরির আয়োজন এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ব্যস্ততা ও পারিপার্শ্বিক সমস্যায় নিজ হাতে পিঠাপুলি তৈরির আয়োজন কমে গেলেও পিঠাপ্রিতি ও ভোজন কিন্তু থেমে নেই।

সরজমিনে কয়রা সদর, বামিয়া সরদারবাড়ি মোড়, বামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, গিলাবাড়ি বাজার,ভান্ডারপোল বাজার, আমাদী বাজার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাশবর্তী মোড়ে, সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, চুলার অল্প আঁচে ধোঁয়া উঠছে। তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু পিঠা। পিঠা খেতে নজর কাড়ছে পিঠা প্রেমিকদের কেউ লাইন দিয়ে অথবা বসে গরম পিঠা খাচ্ছে। অনেকেই পরিবারের জন্য পিঠা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।

এসময় কয়রা সদর থেকে পিঠা ক্রেতা মোঃ ফরহাদ হাওলাদার বলেন, সন্ধ্যায় সময় মাঝে মধ্যে ২/১ পিঠা কিনে খায়। গরম পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে।

ভান্ডারপোল গ্রামের মোঃ মফিজুল ইসলাম শেখ বলেন, শীতের সময় বাজারে এসে বন্ধু বান্ধব মিলে ঠিক খাই। শীতের সন্ধ্যায় পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। প্রতিবছর আমাদের বাজারে শীত কালে পিঠা বিক্রি হয়।

গিলাবাড়ি গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান বাবু বলেন, পরিবারের জন্য বাজার থেকে ১২ পিছ পিঠা কিনলাম। বাড়িতে তৈরি করতে গিলে অনেক খরচ পড়ে। তারথেকে বাজার থেকে কিনে খেলাম।

জায়গীর মহল হাসপাতাল মোড়ে ঠিক বিক্রেতা আঃ গফুর গাজী বলেন, আমি প্রতিবছর শীতের সময় সন্ধ্যায় পিঠা তৈরি করে বিক্রি করেথাকি। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে ৫০০ টাকার মতো আয় হচ্ছে। আমার মতো অনেকেই শীতে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালায়।

খুলনা গেজেট/এমএম

The post কয়রা উপকূলের মোড়ে মোড়ে পিঠার পসরা appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.