ডেস্ক রিপোর্ট:- আগামীকাল ১৪ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং। ২০১৬ সালের এই দিনে চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপটির শুভ সূচনা হয় গ্রুপের প্রথম যৌথ কাব্যগ্রন্থ "ঝরা ফুল" প্রকাশের মাধ্যমে। এটি মূলতঃ একটি ফেসবুক গ্রুপ/সংগঠন।
চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে এখন পর্যন্ত সাহিত্য বিকাশ, প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে আর্তমানবতার কাজে নিয়োজিত। এই গ্রুপটি মূলতঃ সাহিত্য চর্চার একটি অন্যতম ফ্লাটফর্ম। এই গ্রুপে সদস্য খুবই কম। কম হওয়ার কারন জানালেন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এ আর আলম। তিনি জানান চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপটি মূলতঃ কবি/সাহিত্যিকদের জন্য। এই গ্রুপে সক্রিয় কবি সাহিত্যিকদেরকেই প্রাধান্য দেয়া হয়, নিস্ক্রিয় সদস্য দিয়ে গ্রুপ বোঝাই করে লোক দেখানো সদস্য হাজার হাজার না নিয়ে ছয়-শাতশত সদস্যই যথেষ্ট। আমরা হাজার হাজার নিস্ক্রিয় সদস্য গ্রুপে রেখে কোন প্রকার লোক দেখানো কার্যক্রম করি না বিধায় চলো পাল্টাই'তে সদস্য সংখ্যা লক্ষাধিক হতে পারতো কিন্তু আমরা লোক দেখানো সদস্য নিতে আগ্রহী না বিধায় চলো পাল্টাই'তে সদস্য সংখ্যা কম। আর এই কম সংখক সদস্য নিয়ে চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপটি যে সকল কাজ করেছে তা হাজার হাজার সদস্য থাকা গ্রুপগুলি করতে পারেনি, বলতে পারেন নিঃস্বন্দেহে চলো পাল্টাই একটি সফল সংগঠক।
চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপের মূল কাজটা হচ্ছে প্রতি বছর অমর একুশে বইমেলা কেন্দ্র করে একটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করা। গ্রুপের কবি/সাহিত্যিকগণের অংশ গ্রহনের মাধ্যমে প্রতি বছর একটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়, আর প্রতিটি বইয়েই সদস্য যারা কাব্যগ্রন্থে কবিতা/গল্প দিয়ে অংশ নেন তারা নির্ধারিত একটা অনুদান সকলেই দেন। তো বই প্রকাশ করার পর সকলের অনুদানের টাকা থেকে কিঠু টাকা বেঁচে যায়। চলো পাল্টাই কোন ব্যাবসায়িক চেতনা রাখেনা বলেই সকলের দেয়া অনুদানের টাকা হতে বই প্রকাশ করে যে টাকা বেঁচে যায় সেটা তো আর তাদেরকে ফেরৎ দেযা যায় না, তো সকলের অনুদান হতে বেঁচে যাওয়া এই টাকাটা অনুদান থেকে হয়ে যায় দান। হোক সামান্য সে সামান্য টাকাটাই বইয়ে অংশ নেয়া কবি সাহিত্যিকদের অনুদান। তো এই অনুদানের টাকার একটা অংশ যখন বেঁচে যায়, সেটা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুদের নিয়ে গড়ে উঠা বিভিন্ন সংগঠনে দান করে দেয়া হয়।
এ ছাড়াও গ্রুপের তৎকালীন ও বর্তমান এডমিনবৃন্দগণের সহযোগীতায় পথশিশুদের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন জামা কাপড় কিনে ফুটপাথে থাকা শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়াও প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা হচ্ছে, আমাদের চলো পাল্টাই সাহিত্যগ্রুপটি সব সময় চেষ্টা করেছে বন্যার্তদের যতোটা সম্ভব নিজেদের ব্যাক্তিগত অনুদান দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাড়াতে। চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপের কোন ডোনোট নেই, আর চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপ কখনোই কারো কাছে কোন মানবিক কাজের জন্য ডোনেট চায়নি এবং চলো পাল্টাই তা কখনো প্রত্যাশাও করেনি। চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপটি আজ ৮ম বছরে পা দিচ্ছে অত্যন্ত সফলতার সাথে। ২০১৬ সালের ১৪ই ডিসেম্বর হতে চলো পাল্টাই'র সমস্ত কার্যক্রম প্রমাণিত। যার কারনে গ্রুপটির প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে এখন পর্যন্ত অনেক সদস্য গ্রুপটিকে ভালোবেসে গ্রুপের সংগে আছেন এবং বাৎসরিক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করার সময় কবিতা/গল্প ও অনুদান দিয়ে সবসময় সহযোগীতা করে আসছেন। চলো পাল্টাই মূলতঃ এই গুনী কবি/সাহিত্যিকগণের জন্যই টিকে আছে এবং চলো পাল্টাই গ্রুপের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে।
প্রতি বছরের মতো চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপ হতে আসছে ২০২৫ অমর একুশে গ্রন্থমেলা কেন্দ্র করে এ-বছরও " কাল্পনিক সভ্যতা" নামে গ্রুপের সপ্তম যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করতে যাচ্ছে। বইটির কাজ শতভাগ সম্পুর্ন ২০২৫ গ্রন্থমেলায় চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপের সপ্তম যৌথ কাব্যগ্রন্থ পাওয়া ভূমি প্রকাশনীতে।
সবশেষে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে লাখো কোটি শোকরিয়া আদায় করে বলতে চাই, এই গ্রুপটি ফেসবুকের ইতিহাসে অন্যতম একটি গ্রুপ, যে গ্রুপটি নিভৃতে সাহিত্য চর্চা, প্রচার, প্রসার ও বিকাশের মাধ্যমে আর্তমানবতার কাজ করে যাচ্ছে এবং এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এ ছাড়াও চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপের বর্তমান কমিটি নিজেদের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে একটি দুটি পত্রিকায় গ্রুপের সদস্যদের কবিতা বিনা স্বার্থে প্রচার ও প্রকাশ করে আসছে, মূলতঃ চলো পাল্টাই'র উদ্দেশ্য গ্রুপের সক্রিয় কবিদের দেশব্যাপী পরিচিতি ছড়িয়ে দেয়া, আর এই পরিচিতি বাড়ানোর কাজটা পত্রিকার বিকল্প নেই বলেই মনে করেন গ্রুপের বর্তমান কমিটি।
চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপের বর্তমান কমিটিতে আছেন-
বিমলা রায়, প্রধান উপদেষ্টা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন, উপদেষ্টা, ইদি আমিন উপদেষ্টা, শাহনজ পারভীন, উপদেষ্টা এবং গ্রুপের সাহিত্য বিষয়ক উপদেষ্টা পদে আছেন সাংবাদিক ও কলামিষ্ট কবি ও কথা সাহিত্যিক জনাব বদরুদ্দোজা বুলু, সভাপতি ফজলে রাব্বি নবাব। এ ছাড়াও গ্রুপের সহ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন আয়শা আসমানী, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন নিরব রায়হান এবং গ্রুপটির সহকারী প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল আছেন স্থায়ী ক্যাশিযার ও পরিচালক পদে। গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা কবি ও কথা সাহিত্যিক এ আর আলম গ্রুপটির পরিচালক পদে থেকে গ্রুপটির সবরকম পরিচালনা করছেন নিঁখুতভাবে যাতে গ্রুপটি নিয়ে কখনো সমালোনার মুখোমুখি না হতে হয়।
দেশবাসীর কাছে চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপটি পরিচিত হয়ে উঠুক, কবি সাহিত্যিকদের পদচারনায় গ্রুপটি মুখরিত হোক এই প্রত্যাশায় চলো পাল্টাই সাহিত্য গ্রুপের সর্বাধিক সাফল্য কামনা করছি।