8:21 pm, Saturday, 21 December 2024

এনসিএলে তামিমদের বিদায়, আশা জিইয়ে রাখল খুলনা

চার ম্যাচ খেলে আগেই এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ছেড়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর অনেকটা টেনেটুনে সুপার ফোরে ওঠে তার দল চট্টগ্রাম বিভাগ। কিন্তু সেখানেই শেষ, খুলনা বিভাগের কাছে হেরে আজ (শনিবার) ইয়াসির আলি রাব্বি নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা খুলনার পুঁজি ছিল ১৪৬ রানের, যা তাড়া করতে নেমে ৭ রানে হেরেছে চট্টগ্রাম।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সুপার ফোরের এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম ও খুলনা। টস জিতে খুলনাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান চট্টগ্রাম অধিনায়ক ইয়াসির রাব্বি। শুরুতেই উইকেট হারালেও, দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাদের বিপর্যয় থেকে টেনে তোলে আজিজুল হাকিম তামিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের জুটি। ৫ ওভারেই তারা দলীয় সংগ্রহ ৫০ রান এনে দেন।

এর আগে প্রথম ওভারেই ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হয়ে যান এনামুল হক বিজয়। পরে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তামিম-মিঠুন। আজিজুল তামিমের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। ১৬ বলে একটি চার ও ২ ছক্কায় তিনি ২০ রান করেন। মিঠুনও বিদায় নেন পরপরই, ১২ বলে একটি চার-ছক্কায় করেন ১৬ রান। মাঝে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারার হতাশা নিয়ে ফেরেন ইমরুল কায়েস (১৭) ও নাহিদুল ইসলাম (১৮)।

নুরুল হাসান সোহান প্রায় শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দেন। একপ্রান্ত আগলে রেখে এই কাপ্তান ৩৯ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন। এ ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান না পাওয়ায় নির্ধারিত ২০ ওভারের ৩ বল বাকি থাকতেই ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আহমেদ শরিফ, এ ছাড়া ফাহাদ হোসেন ৩ এবং ইরফান হোসেন একটি উইকেট শিকার করেছেন।

১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ধীরগতির শুরুর পর ১১ রানেই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে হারায় চট্টগ্রাম। ৯ বলে ৮ রান করেন জাতীয় দলের এই ব্যাটার। পরবর্তীতে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৪২ রান নিতেই চট্টগ্রাম বিভাগ ২ উইকেট হারায়। অল্প সময়ের ব্যবধানে ফেরেন সাদিকুর রহমান (১১) ও মুমিনুল হক (৮)। মাঝে শাহাদাত হোসেন দীপু ১৪ বলে ২টি চার ও এক ছক্কায় ২১ রান করেন। ইরফান শুক্কুরও আউট হয়ে যান ৭ রানে।

শেষদিকে ইয়াসির রাব্বি ও নাঈম হাসান জয়ের পথে ছুটলেও ২০ ওভার শেষে তারা ১৩৯ রান তুলতে সক্ষম হয়। রাব্বি আউট হয়েছেন ২৭ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করে। এ ছাড়া নাঈম সমান বল ও বাউন্ডারি খেলে ৩৪ রান করেন। বিপরীতে খুলনার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মাসুম খান টুটুল ও মেহেদি হাসান রানা। তবে ফাইনালে উঠতে হলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দলের সঙ্গেও জিততে হবে খুলনাকে।

খুলনা গেজেট/এএজে

The post এনসিএলে তামিমদের বিদায়, আশা জিইয়ে রাখল খুলনা appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.

Tag :

এনসিএলে তামিমদের বিদায়, আশা জিইয়ে রাখল খুলনা

Update Time : 04:09:10 pm, Saturday, 21 December 2024

চার ম্যাচ খেলে আগেই এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ছেড়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর অনেকটা টেনেটুনে সুপার ফোরে ওঠে তার দল চট্টগ্রাম বিভাগ। কিন্তু সেখানেই শেষ, খুলনা বিভাগের কাছে হেরে আজ (শনিবার) ইয়াসির আলি রাব্বি নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা খুলনার পুঁজি ছিল ১৪৬ রানের, যা তাড়া করতে নেমে ৭ রানে হেরেছে চট্টগ্রাম।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সুপার ফোরের এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম ও খুলনা। টস জিতে খুলনাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান চট্টগ্রাম অধিনায়ক ইয়াসির রাব্বি। শুরুতেই উইকেট হারালেও, দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাদের বিপর্যয় থেকে টেনে তোলে আজিজুল হাকিম তামিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের জুটি। ৫ ওভারেই তারা দলীয় সংগ্রহ ৫০ রান এনে দেন।

এর আগে প্রথম ওভারেই ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হয়ে যান এনামুল হক বিজয়। পরে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তামিম-মিঠুন। আজিজুল তামিমের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। ১৬ বলে একটি চার ও ২ ছক্কায় তিনি ২০ রান করেন। মিঠুনও বিদায় নেন পরপরই, ১২ বলে একটি চার-ছক্কায় করেন ১৬ রান। মাঝে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারার হতাশা নিয়ে ফেরেন ইমরুল কায়েস (১৭) ও নাহিদুল ইসলাম (১৮)।

নুরুল হাসান সোহান প্রায় শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দেন। একপ্রান্ত আগলে রেখে এই কাপ্তান ৩৯ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন। এ ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান না পাওয়ায় নির্ধারিত ২০ ওভারের ৩ বল বাকি থাকতেই ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আহমেদ শরিফ, এ ছাড়া ফাহাদ হোসেন ৩ এবং ইরফান হোসেন একটি উইকেট শিকার করেছেন।

১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ধীরগতির শুরুর পর ১১ রানেই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে হারায় চট্টগ্রাম। ৯ বলে ৮ রান করেন জাতীয় দলের এই ব্যাটার। পরবর্তীতে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৪২ রান নিতেই চট্টগ্রাম বিভাগ ২ উইকেট হারায়। অল্প সময়ের ব্যবধানে ফেরেন সাদিকুর রহমান (১১) ও মুমিনুল হক (৮)। মাঝে শাহাদাত হোসেন দীপু ১৪ বলে ২টি চার ও এক ছক্কায় ২১ রান করেন। ইরফান শুক্কুরও আউট হয়ে যান ৭ রানে।

শেষদিকে ইয়াসির রাব্বি ও নাঈম হাসান জয়ের পথে ছুটলেও ২০ ওভার শেষে তারা ১৩৯ রান তুলতে সক্ষম হয়। রাব্বি আউট হয়েছেন ২৭ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করে। এ ছাড়া নাঈম সমান বল ও বাউন্ডারি খেলে ৩৪ রান করেন। বিপরীতে খুলনার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মাসুম খান টুটুল ও মেহেদি হাসান রানা। তবে ফাইনালে উঠতে হলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দলের সঙ্গেও জিততে হবে খুলনাকে।

খুলনা গেজেট/এএজে

The post এনসিএলে তামিমদের বিদায়, আশা জিইয়ে রাখল খুলনা appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.