নিজস্ব প্রতিনিধি:
বরিশালে আওয়ামী লীগ ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার বেলা ৩টার দিকে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমকে আদালতে তোলার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর অনুসারীরা সেখানে উপস্থিত হন। তখন প্রথমে তাঁদের ওপর হামলা করা হয় এবং পরে তাঁরাও যুবদলের নেতা-কর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা চালান। প্রায় দুই ঘণ্টা চলে পাল্টাপাল্টি হামলা।
এদিকে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে জাহিদ ফারুককে বরিশাল তৃতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। সরকারপক্ষে কোনো রিমান্ড আবেদন ছিল না। তাঁর পক্ষের আইনজীবী আফজালুল করিম জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সাইদুর রহমান রিমান্ডের আবেদন করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্বল অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। তাঁরা তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের দাবি জানান।
গত রোববার রাতে ঢাকার বারিধারা থেকে জাহিদ ফারুককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত ৪ আগস্ট বরিশাল নগরের সদর রোডে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলার অন্যতম আসামি তিনি। জাহিদ ফারুক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ২টার পর থেকে জাহিদ ফারুক অনুসারী আওয়ামী লীগের কর্মীরা আদালতপাড়ায় আসতে শুরু করেন। এ খবর পেয়ে যুবদলের নেতা-কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা নানাভাবে উল্লাস প্রকাশ ও মিষ্টি বিতরণ করেন। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জেলা যুবদলের সহসভাপতি মিলনের নেতৃত্বে আদালতপাড়ায় হট্টগোল শুরু হয়। প্রথমেই তাঁরা জাহিদ ফারুক অনুসারী যুবলীগের শাহরিয়ার রাজীবের ওপর হামলা করেন। তাঁকে বেদম মারধর করা হয়। তখন জাহিদ ফারুকের অনুসারী অন্য কর্মীরা সটকে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পরই ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও শ্রমিক লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীনকে আদালতপাড়ায় বেদম মারধর করা হয়।
এ খবর পেয়ে জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে অনু ও আশরাফুলের নেতৃত্বে শতাধিক নারী-পুরুষ মিছিল করে আদালতপাড়ায় ঢুকে যান। তাঁরা ঢোকার পরই হামলাকারী যুবদল নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর দুটি ট্রাকে আরও বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ এসে জয়নালের ছেলেদের সঙ্গে যোগ দেন। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ আদালতপাড়ায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন এবং হামলাকারীদের খুঁজতে থাকেন।
যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউল আলম পলাশ বলেন, ‘হাসিনা সরকারের দোসর ছিলেন জাহিদ ফারুক। তিনি ভোট চুরি করে এমপি হয়েছেন। তাঁর গ্রেপ্তারের খবরে আমরা খুশি হয়েছি। তাঁকে আদালতে আনা হবে, এ খবর পেয়ে আমরা আদালতে এসেছি।’
শ্রমিক লীগের নেতা জয়নাল আবেদীনকে মারধর করছেন কয়েকজন। গতকাল বরিশালের তৃতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে। সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে আদালতে তোলার খবর পেয়ে জয়নালসহ অনেকে সেখানে উপস্থিত হন।
The post আদালত প্রাঙ্গনে আওয়ামী লীগ নেতা রাজিব ও কাউন্সিলর জয়নালকে মারধর appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.