বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ডামাডোলে মানসম্মত বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়াই মুশকিল। তাই প্রতিবছর কমছে বড় নাম। তারপরও নিজেদের সাধ্যমত সেরা ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। কোচিং স্টাফে এবার এসেছে পরিবর্তন। গেল আসরে সব দলের দেশি কোচ থাকলেও এবার ডাগ আউট সামলাবেন মিকি আর্থার, শন টেইট, ইজাজ আহমেদরা। দেখে নিতে চাই, কেমন হলো বিপিএলের ৭ দলের স্কোয়াড।
সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস নেই। নেই সাকিব-মাশরাফির মত তারকা। বিদেশি তালিকায় আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইনদের অনুপস্থিতি। তারপরও পরিবর্তিত বাংলাদেশে নতুন আশা আকাঙ্খা, স্বপ্ন নিয়ে শুরু হচ্ছে বিপিএলের ১১তম আসর।
কাগজে কলমে, নামে ভারে সেরা দল গড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। ড্রাফটের শীর্ষ ক্যাটাগরির ১২ ক্রিকেটারের ৬ জনকেই নিয়েছে দলে। তামিম, মাহমুদউল্লাহ, নাজমুল শান্ত, মুশফিক, তাওহীদ হৃদয়, রিশাদকে নিয়ে যেন মিনি বাংলাদেশ। ডেভিড মালান, মোহাম্মদ নবী, শাহিন শাহ আফ্রিদির মত ফরেন রিক্রুট। সে তুলনায় কোচিং স্টাফে বড় নাম নেই। আস্থা রেখেছে মিজানুর রহমান বাবুলের উপর।
ঠিক বিপরীতে হেঁটেছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন রংপুর। রাইডার্সের ডাগআউটে মিকি আর্থারের মত মাস্টারমাইন্ড। কাজে লাগাতে চায় মোহাম্মদ আশরাফুলের অভিজ্ঞতা। স্কোয়াডের নেতৃত্বে বিশ্বস্ত নুরুল হাসান সোহান। সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী, সাইফউদ্দিনরা আছেন। বড় নামের পেছনে না ছুটে বেশি ম্যাচ খেলতে পারবে এমন বিদেশি ক্রিকেটার নিয়েছে রংপুর। সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের সৌরভ নেত্রভালকার ও স্টিভেন টেইলরকে নেয়া। দলে অ্যালেক্স হেলস, ইফতেখার, খুশদিলরা। এনসিএল টি টোয়েন্টি থেকে নিয়েছে যুব এশিয়া কাপ জয়ী অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমকে।
ক্রিকেট আর সিনেমার মিশেলে আইপিএলের আবহ নিয়ে এসেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ৩ বারের চ্যাম্পিয়ন দলের মালিকানায় সুপারস্টার শাকিব খান। মুস্তাফিজ, মুগ্ধ শাহনেওয়াজ দাহানিদের নিয়ে দুর্দান্ত পেস ইউনিট ঢাকার। ব্যাটিংয়ে লিটনের নেতৃত্বে তানজিদ তামিম, শাহাদাৎ দিপুরা। এনসিএল পারফরম্যান্সে পর দলে ঢুকেছেন আলাউদ্দিন বাবু। স্টিভেন এসকেনাজি, জনসন চার্লস থিসারা পেরেরা আছেন খালেদ মাহমুদ সুজনের দলে।
সাকিবকে ছাড়াই খেলতে হবে চিটাগং কিংসকে। বড় নাম নেই স্কোয়াডে। শরিফুল ইসলাম, পারভেজ ইমন, শামীম হোসেনদের উপর প্রত্যাশার চাপ। হেড কোচ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার শন টেইট।
দুর্বার রাজশাহীর বড় নাম তাদের কোচ পাকিস্তানের ৯২ বিশ্বকাপজয়ী ইজাজ আহমেদ। স্কোয়াডে জিসান আলম, এনামুল বিজয়, তাসকিন আহমেদ, আকবার আলীরা। বিদেশি তালিকায় মোহাম্মদ হারিস ও রায়ার্ন বার্ল ছাড়া চেনাজানা আর কেউ নেই।
মিরাজ, আফিফ, নাসুম, আবু হায়দাদের উপর ভরসা রেখে স্কোয়াড সাজিয়েছে খুলনা টাইগার্স। ফরেন রিক্রুটে ওশানে থমাস, হাসনাইন, নাওয়াজ, ইবরাহিম জাদরানা। দলটার কোচ তালহা জুবায়ের।
কোচিং প্যানেল ও স্কোয়াড বিবেচনায় লো প্রোফাইল সিলেট স্টাইকার্স। স্কোয়াডে নাম থাকলেও মাশরাফির খেলা অনিশ্চিত। লোকাল ক্রিকেটার জাকের আলী, জাকির হাসান, তানজিম সাকিবকে দলে টেনেছে দলটা। বিদেশি তালিকায় তুলনামুলক বড় নাম। পল স্টার্লিং, রাকিম কর্নওয়াল, রিস টপলি ও অ্যারন জোন্স। এনসিএল থেকে নিয়েছে জাওয়াদ আবরারকে।
শুরুর গল্প বদলে যেতে পারে ধীরে ধীরে। স্কোয়াডেও আসতে পারে পরিবর্তন। তাই মাঠের লড়াইয়ে মিলবে শক্তি দুর্বলতার আসল উত্তর।
The post ২২ গজের লড়াইয়ের আগে দেখে নেয়া যাক কেমন হলো ৭ দলের স্কোয়াড appeared first on Bangladesher Khela.