নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় রুকু শেখ নামে এক ব্যক্তি হত্যার দায়ে কুদ্দুস ফকির নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ওই আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তারা সম্পর্কে শ্যালক-ভগ্নিপতি। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. শাহাজান আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুদ্দুস ফকির নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার চোরাখালি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চোরাখালি গ্রামের রুকু শেখের বোন চায়না বেগমের সঙ্গে ৩০ বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের কুদ্দুস ফকিরের। বিয়ের পর থেকে চায়নাকে নির্যাতন করতেন কুদ্দুস। ২০১৮ সালের দিকে সংসার ত্যাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসে চায়না। ২০২১ সালের শেষের দিকে এসে চায়নাকে আবার সংসারে ফিরেয়ে নিতে চান কুদ্দুস। একই বছর ৩ ডিসেম্বর নিজ বাড়ির পাশে নবগঙ্গা নদীতে গোসল করতে যায় চায়নার ভাই রুকু শেখ। তখন রুকু শেখের কাছে চায়নাকে ফেরত পাঠানোর কথা বলে ভগ্নিপতি।
এসময় দুজনের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে কুদ্দুস লোহার শাবল দিয়ে রুকুর মাথায় আঘাত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুকুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৬ ডিসেম্বর নিহতের স্ত্রী মানোয়ারা বেগম বাদী হয়ে নড়াগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে
The post শ্যালককে হত্যার দায়ে কুদ্দুস ফকিরের যাবজ্জীবন appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.