অফিস, সংসারের কাজবাজ ও নানাবিধ জটিলতার কারণে ভালো থাকা হয় না। দিনের পর দিন মানসিক চাপ নিতে নিতে বেঁচে থাকাটা অর্থহীন হয়ে যায়। নতুন বছরের শুরু থেকেই অকাতরে নিজেকে বিলিয়ে দেবেন না। সময় এসেছে নিজেকে ভালো রাখার। আপনি ভালো থাকলে পরিবার ও সন্তান ভালো থাকবে।
শারীরিক সুস্থতাকে প্রাধান্য দিন
মানসিকভাবে ভালো থাকতে শুরুতেই শারীরিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত ১০-১৫ মিনিট হলেও খোলা বাতাসে হাঁটুন। শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। ইয়োগা, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজের জন্য সময় রাখুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম
আপনি নিজে সুস্থ থাকলে প্রিয়জনদের সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারবেন। অফিসের কাজেও পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন। তাই সবার আগে নিজের পর্যাপ্ত বিশ্রামের দিকে খেয়াল রাখুন। রাতে ঠিকঠাক ঘুমান। অযথা জেগে থাকবেন না। এতে ইমিউনিটি কমে যায়।
নিয়মিত প্রার্থনা করুন
ভালো থাকার জন্য নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করুন। মেডিটেশনও করতে পারেন। ঘরের আলো নিভিয়ে মোম জ্বালিয়ে, হালকা মিউজিকের তালে তালে মেডিটেশন করতে পারেন। শান্ত পরিবেশে ধ্যান করলে প্রতিদিনের কাজের তিক্ততা দূর হবে। আবেগকেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
অপরাধবোধ থেকে বের হন
পরিবার ও সংসারে অনেক সময় দিয়েও অনেকে অপরাধবোধে ভোগেন। এবছরের শুরু থেকে অপরাধবোধকে বিদায় জানান। কেননা অপরাধবোধের অনুভূতি আমাদের সময় ও শক্তি নষ্ট করে। বরং নিজের সময়গুলোকে কাজে লাগান। যথাসম্ভব উপভোগ করুন।
প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য নিন
সব কাজ একাই করতে হবে, এমন ভাবনা থেকে বের হোন। অন্যের সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না। কেননা একা এক হাতে সবকিছু সামলানো যায় না। এতে ক্লান্তি বাড়ে। তাই সাহায্য নিন। সাহায্য নেওয়াকে নিজের দুর্বলতা ভাববেন না।
নেতিবাচক বন্ধু ও আত্মীয় থেকে দূরে থাকুন
সবসময় ইতিবাচক থাকতে নেতিবাচক বন্ধু ও আত্মীয় থেকে দূরে থাকুন। তবে একেবারে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নয়, বরং মাঝে মাঝে কথা হলেও তাদের কথায় পাত্তা দেওয়া যাবে না। কিছু কিছু মানুষ আপনার ভালো বিষয়গুলোকে সহ্য করতে পারেন না। তারা আপনাকে হিংসা করেন। তাই বিভিন্ন নেতিবাচক কথা দিয়ে আপনাকে দমিয়ে রাখতে চান। এ ধরনের মানুষ থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকাই ভালো।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
আপনাকে যারা ভালোবাসে, যারা আপনার ছোট ছোট বিষয়গুলোর খেয়াল রাখে তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানান। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে মন নরম থাকে। এমনকি জীবনের প্রতি ভালোবাসাও বাড়ে। মূলত এটি ইতিবাচক মনোভাবের অংশ। আর ইতিবাচকতা নতুন করে কাজ করার শক্তি দেয়। মানসিক চাপ কমায়।
এছাড়াও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে কাজ করুন। সৃজনশীল চিন্তা বাড়াতে পারেন। বই পড়া ও ভালো সিনেমা দেখার জন্য সময় রাখুন। রাত জেগে ফোন-কম্পিউটার-ল্যাপটপ ব্যবহার কমান। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন।
খুলনা গেজেট/এএজে
The post নতুন বছরে ভালো থাকতে যে অভ্যাস মেনে চলবেন appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.