7:34 am, Sunday, 5 January 2025

নাসির হত্যাকাণ্ডে শিবিরকে দুষলো যুবদল, বিচার চেয়ে যা বললো জামায়াত

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে যুবদল নেতা নাসির উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িতরা ‘ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডার’ বলে দাবি করেছে পাথরঘাটা উপজেলা ও পৌর যুবদল। তবে এই দাবিকে ‘মিথ্যাচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখা। 

গত বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকায় নাসির উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তিনি পাথরঘাটা পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহানের ছেলে। 

যুবদলের সংবাদ সম্মেলন
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা ও পৌর যুবদল। 

এতে বক্তব্য রাখেন বরগুনা জেলা যুবদলের সভাপতি কামরুল জাহিদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসান আল বকর মেছাল, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন রানা, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সোহানুর রহমান সোহাগ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জামাল, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আল আমিন প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে আমরা হটিয়েছি, আজও তারা অন্ধকারে থেকে কলকাঠি নাড়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগের গুটিয়েক সন্ত্রাসী জামায়াত ও ছাত্রশিবির ছত্রছায়ায় থেকে এবং তাদের সংগঠনে যোগ দিয়ে তারা এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। আগে তারা ছাত্রলীগ করতো, এখন তারা শিবির। তাই নাসিরকে শিবিরের ক্যাডাররাই খুন করেছে। 

বরগুনা জেলা যুবদলের সভাপতি কামরুল হাসান জাহিদ মোল্লা বলেন, জামায়াতের কর্মীসভায় আইডি কার্ড গলায় ঝুলানো অবস্থায় দেখা গেছে রাব্বি ও হাসানকে। অথচ কেউ কেউ বলছেন তারা শিবিরের লোক নয়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আপনারা যদি মনে করেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের মতো পুলিশ কাজ করবে তাহলে এর পরিণাম ভালো হবে না। 

সংবাদ সম্মেলন শেষে নাসির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে পাথরঘাটা পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে পাথরঘাটা উপজেলা ও পৌর যুবদল। 

সুষ্ঠু বিচার চায় জামায়াত, শিবির নেতার ওপর হামলায় নিন্দা
এদিকে নাসির হত্যার ঘটনায় সন্ধ্যা ৬টায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখা। এতে ওই হত্যাকাণ্ডে ছাত্রশিবিরকে জড়ানোকে মিথ্যাচার বলে আখ্যা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে উপজেলা শিবির সভাপতির ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। 

জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার আমির অধ্যাপক মাওলানা মুহিবুল্লাহ হারুন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় গত ১ জানুয়ারি একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। দুটি পক্ষের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নাসির নামে এক যুবদল কর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। যার বাস্তব সাক্ষী এলাকাবাসী এবং পাথরঘাটার স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। কিন্তু পাথরঘাটার একটি রাজনৈতিক দলের কিছু কর্মী ও নেতারা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে জামায়াতে ইসলামের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই হত্যাকাণ্ডটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চেষ্টা করছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের দায়িত্বশীল পর্যায়ের কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়াই ওই রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের চাপিয়ে দেওয়া অভিযোগের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আগাম ধারণা প্রকাশ করছেন। প্রশাসনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে এমন একটি অপরাধ সম্পর্কে তদন্ত ছাড়াই ধারণা প্রকাশ করা তাদের দায়িত্ব ও পেশাদারিত্বের পরিপন্থি ও বিধি লঙ্ঘনের শামিল। 

অন্যদিকে ওই রাজনৈতিক দলের কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু নেতা-কর্মী মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অভিযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা কেবল রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূতই নয়, বরং স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দীর্ঘ সহযাত্রীদের প্রতি চরম অকৃতজ্ঞতার শামিল। 

মুহিবুল্লাহ হারুন বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক সুশৃঙ্খল শান্তিকামী সংগঠন। আমরা কোনো সহিংসতা বা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তাই আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বরগুনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এই হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাথরঘাটা উপজেলা এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নয়। 

জামায়াত নেতারা বলেন, একটা দুর্বৃত্ত শ্রেণি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাথরঘাটা থানা দক্ষিণ শাখার সভাপতি হাফেজ মো. রাকিব হাসানকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক হামলা করেছে। হাফেজ মো. রাকিব হাসান সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। 

তারা পাথরঘাটা তথা বরগুনার সর্বস্তরের জনগণকে এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নেতারা সাম্প্রতিক এই ঘটনার বিষয়ে তাদের অবস্থান ও কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। তারা নাসিরের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। একইসঙ্গে ছাত্রশিবিরের থানা সভাপতি হাফেজ মো. রাকিব হাসানের ওপর ঘৃণ্য হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এতে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।  

বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরকে জড়িয়ে ‘উদ্দেশ্যমূলক ও শিষ্টাচার বহির্ভূত’ অভিযোগের চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার নায়েবে আমির মাওলানা এসএম আফজালুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মো. আসাদুজ্জামান আল মামুন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাস্টার শামীম আহসান, পাথরঘাটা পৌর আমির মাওলানা বজলুর রহমান, বরগুনা পৌর আমির মাওলানা আব্দুল জলিল প্রমুখ।

The post নাসির হত্যাকাণ্ডে শিবিরকে দুষলো যুবদল, বিচার চেয়ে যা বললো জামায়াত appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.

Tag :

নাসির হত্যাকাণ্ডে শিবিরকে দুষলো যুবদল, বিচার চেয়ে যা বললো জামায়াত

Update Time : 12:11:02 am, Friday, 3 January 2025

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে যুবদল নেতা নাসির উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িতরা ‘ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডার’ বলে দাবি করেছে পাথরঘাটা উপজেলা ও পৌর যুবদল। তবে এই দাবিকে ‘মিথ্যাচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখা। 

গত বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকায় নাসির উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তিনি পাথরঘাটা পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহানের ছেলে। 

যুবদলের সংবাদ সম্মেলন
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা ও পৌর যুবদল। 

এতে বক্তব্য রাখেন বরগুনা জেলা যুবদলের সভাপতি কামরুল জাহিদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসান আল বকর মেছাল, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন রানা, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সোহানুর রহমান সোহাগ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জামাল, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আল আমিন প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে আমরা হটিয়েছি, আজও তারা অন্ধকারে থেকে কলকাঠি নাড়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগের গুটিয়েক সন্ত্রাসী জামায়াত ও ছাত্রশিবির ছত্রছায়ায় থেকে এবং তাদের সংগঠনে যোগ দিয়ে তারা এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। আগে তারা ছাত্রলীগ করতো, এখন তারা শিবির। তাই নাসিরকে শিবিরের ক্যাডাররাই খুন করেছে। 

বরগুনা জেলা যুবদলের সভাপতি কামরুল হাসান জাহিদ মোল্লা বলেন, জামায়াতের কর্মীসভায় আইডি কার্ড গলায় ঝুলানো অবস্থায় দেখা গেছে রাব্বি ও হাসানকে। অথচ কেউ কেউ বলছেন তারা শিবিরের লোক নয়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আপনারা যদি মনে করেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের মতো পুলিশ কাজ করবে তাহলে এর পরিণাম ভালো হবে না। 

সংবাদ সম্মেলন শেষে নাসির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে পাথরঘাটা পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে পাথরঘাটা উপজেলা ও পৌর যুবদল। 

সুষ্ঠু বিচার চায় জামায়াত, শিবির নেতার ওপর হামলায় নিন্দা
এদিকে নাসির হত্যার ঘটনায় সন্ধ্যা ৬টায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখা। এতে ওই হত্যাকাণ্ডে ছাত্রশিবিরকে জড়ানোকে মিথ্যাচার বলে আখ্যা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে উপজেলা শিবির সভাপতির ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। 

জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার আমির অধ্যাপক মাওলানা মুহিবুল্লাহ হারুন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় গত ১ জানুয়ারি একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। দুটি পক্ষের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নাসির নামে এক যুবদল কর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। যার বাস্তব সাক্ষী এলাকাবাসী এবং পাথরঘাটার স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। কিন্তু পাথরঘাটার একটি রাজনৈতিক দলের কিছু কর্মী ও নেতারা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে জামায়াতে ইসলামের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই হত্যাকাণ্ডটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চেষ্টা করছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের দায়িত্বশীল পর্যায়ের কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়াই ওই রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের চাপিয়ে দেওয়া অভিযোগের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আগাম ধারণা প্রকাশ করছেন। প্রশাসনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে এমন একটি অপরাধ সম্পর্কে তদন্ত ছাড়াই ধারণা প্রকাশ করা তাদের দায়িত্ব ও পেশাদারিত্বের পরিপন্থি ও বিধি লঙ্ঘনের শামিল। 

অন্যদিকে ওই রাজনৈতিক দলের কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু নেতা-কর্মী মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অভিযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা কেবল রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূতই নয়, বরং স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দীর্ঘ সহযাত্রীদের প্রতি চরম অকৃতজ্ঞতার শামিল। 

মুহিবুল্লাহ হারুন বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক সুশৃঙ্খল শান্তিকামী সংগঠন। আমরা কোনো সহিংসতা বা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তাই আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বরগুনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এই হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাথরঘাটা উপজেলা এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নয়। 

জামায়াত নেতারা বলেন, একটা দুর্বৃত্ত শ্রেণি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাথরঘাটা থানা দক্ষিণ শাখার সভাপতি হাফেজ মো. রাকিব হাসানকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক হামলা করেছে। হাফেজ মো. রাকিব হাসান সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। 

তারা পাথরঘাটা তথা বরগুনার সর্বস্তরের জনগণকে এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নেতারা সাম্প্রতিক এই ঘটনার বিষয়ে তাদের অবস্থান ও কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। তারা নাসিরের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। একইসঙ্গে ছাত্রশিবিরের থানা সভাপতি হাফেজ মো. রাকিব হাসানের ওপর ঘৃণ্য হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এতে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।  

বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরকে জড়িয়ে ‘উদ্দেশ্যমূলক ও শিষ্টাচার বহির্ভূত’ অভিযোগের চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার নায়েবে আমির মাওলানা এসএম আফজালুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মো. আসাদুজ্জামান আল মামুন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাস্টার শামীম আহসান, পাথরঘাটা পৌর আমির মাওলানা বজলুর রহমান, বরগুনা পৌর আমির মাওলানা আব্দুল জলিল প্রমুখ।

The post নাসির হত্যাকাণ্ডে শিবিরকে দুষলো যুবদল, বিচার চেয়ে যা বললো জামায়াত appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.