4:50 pm, Monday, 6 January 2025

ময়মনসিংহ স্টেশন রোড বিদ্যুৎ বিতরণের মাঠ পর্যায়ে দালালীপনা গ্রাহক ভোগান্তি চরমে

ময়মনসিংহে: নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্য্যালয় বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ দক্ষিণ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে বিদ্যুৎ মিটার আনতে টাকা,মিটার লাগাতে টাকা,তার লাগাতে টাকা,সুইচ কিনতে টাকা সেখানে টাকা ছাড়া কিছু ই  হয়না এতো টাকা সাধারন বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কেন দিতে হয়! এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের পিকআপ নিয়ে যারা আসে, তাদের কাছে জানতে চাইলে টেকনিশিয়ানরা বুক চিতিয়ে বলেন, এসব কথা নাকি তাদের জানিয়ে লাভ নেই। উপরের ইন্জিনিয়ার সাহেবরা যা বলে দেন আমাদের তাই করতে হয়।

বিদ্যুতের গাড়িতে বসা ছোট খাটো কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তারও একই উত্তর,জানিনা।
গ্রাহকরা জানান, আমরা জানি পিক আপের ফুয়েল খরচ মাঝে-মধ্যে চা- বিড়ি আর রুটি-পরোটা খাওয়ার খরচ থেকে  বিদ্যুৎ মিটার তার সুইচ ইত্যাদির সকল খরচই বিদ্যুৎ বিভাগ থেকেই দেয়া হয়। গ্রাহকরা আরও জানান, বর্ষা মৌসুমের আগে যখন গাছের ডাল পালা কাটার হিড়িক পড়ে, তখন সেই গাছের ডাল পালা কাটার খরচও নাকি বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরই দিতে হয়।
বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ক্ষোভের সাথে এই সাংবাদিক প্রতিনিধিকে জানান, সবকিছু যদি গ্রাহককেই দিতে হয় তাহলে বিদ্যুৎ বিভাগের তাবেদার প্রকৌশলীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কোন জায়গায়?
এসব প্রশ্নের ভারে ন্যুজ হয়ে পরবর্তীতে জানা গেলো, প্রকৃত রহস্য উদঘাটন।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ স্টেশন রোডস্হ বিদ্যুৎ বিপণন ও বিতরণ বিভাগ স্টেশন রোডের বিদ্যুৎ বিতরণের প্রায় সম্পূর্ণ সরকারি কাজটি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে চালাচ্ছে দালালদের মাধ্যমে। অভিযোগে জানা গেছে, এই ক্যাচকালে পুরো চান্সটাই নিয়ে নিচ্ছে বেপরোয়া দালাল চক্র।
গুরুতর অভিযোগে প্রকাশ এই দালালদের রোষানলে পড়ে শান্তিপ্রিয় গ্রাহকরা তাদের সর্বস্য খুইয়ে দালালদের হাতে তুলে দিচ্ছেন প্রতি মিটারে ত্রিশ হাজার থেকে চল্লিশ হাজার টাকা।
আবার জানা গেছে, বাণিজ্যিক ও  ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিদ্যুৎ গ্রাহকরা যদি একেবারে  শতভাগ তথ্য-উপাত্ত সামনে ধরে বলে আমাদের মিটার লাগিয়ে দিতে হবে এরপরও দালালচক্র মেজাজ দেখিয়ে বলে উঠে তার নষ্ট। পুরো তার ক্রয় করে আনুন। আবার বলে তাড়াতাড়ি করুন। আমাদের আরও কাজ আছে। একটা কাজ নিয়ে বসে থাকলে তো হবেনা। গ্রাহকরা পড়েন ফাঁপড়ে। ঘরে দুগ্ধপোষ্য শিশু। কারেন্ট তো  আগে আনতে হবে।
এই সুযোগে অমানবিক দালাল চক্র বাড়তি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়। গরীব গ্রাহকের ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে বেণিয়া দস্যুদের এই দস্যুবৃত্তি আর কতদিন চলবে? সাধারণ গ্রাহকরা ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে সেটাই জানতে চান।
জানা গেছে, বিষয়টা ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিভাগের বর্তমানে ওপেন সিক্রেট পর্যায়ে চলে গেছে।
আরও জানাগেছে যদি কোন বাসাবাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সেই রোডের সমস্ত বাসাবাড়ির বাসিন্দাদের সাড়ে সতরো বেজে যায়। ফোনের পর ফোন করেও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন আসে কি আসেনা। কথা বলে কি বলেনা। এভাবেই দিন পাচেক চলে যায়। গ্রাহক থাকেন অন্ধকারে।
জানা গেছে, এরপর সম্পূর্ণ মানবতা বিরোধী কাজটি করে ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ বিভাগ ট্রান্সফরমার ঠিক করার উধৃতি  দিয়ে বলেন ট্রান্সফরমার বিদ্যুৎ বিভাগ ঠিক করে দিবে তবে এজন্যে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসিকে চাদা দিতে হবে। চাদা কেন জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের দালালচক্র জানান ট্রান্সফরমারের মূল্য বেশী তাই এলাকার লোকজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ট্রান্সফরমার নিয়ে আসতে হবে।
এ সময় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে অসন্তোষ ও উত্তেজনা বেড়ে উঠে যার কোন পাত্তাই দেননা ময়মনসিংহ স্টেশন রোডস্হ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী ও বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। কিন্তু বিদ্যুতের সাধারণ  গ্রাহকরা বলছেন এভাবে গ্রাহকদের গলা কেটে ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিভাগের কথিত দালালচক্র আর কতদিন এভাবে দাপিয়ে বেড়াবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত রায় তা অস্বীকার করেন। তবে
এ ব্যপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের জরুরী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন বিদ্যুৎ গ্রাহকগন।

The post ময়মনসিংহ স্টেশন রোড বিদ্যুৎ বিতরণের মাঠ পর্যায়ে দালালীপনা গ্রাহক ভোগান্তি চরমে appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.

Tag :

ময়মনসিংহ স্টেশন রোড বিদ্যুৎ বিতরণের মাঠ পর্যায়ে দালালীপনা গ্রাহক ভোগান্তি চরমে

Update Time : 03:07:59 pm, Saturday, 4 January 2025

ময়মনসিংহে: নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্য্যালয় বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ দক্ষিণ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে বিদ্যুৎ মিটার আনতে টাকা,মিটার লাগাতে টাকা,তার লাগাতে টাকা,সুইচ কিনতে টাকা সেখানে টাকা ছাড়া কিছু ই  হয়না এতো টাকা সাধারন বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কেন দিতে হয়! এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের পিকআপ নিয়ে যারা আসে, তাদের কাছে জানতে চাইলে টেকনিশিয়ানরা বুক চিতিয়ে বলেন, এসব কথা নাকি তাদের জানিয়ে লাভ নেই। উপরের ইন্জিনিয়ার সাহেবরা যা বলে দেন আমাদের তাই করতে হয়।

বিদ্যুতের গাড়িতে বসা ছোট খাটো কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তারও একই উত্তর,জানিনা।
গ্রাহকরা জানান, আমরা জানি পিক আপের ফুয়েল খরচ মাঝে-মধ্যে চা- বিড়ি আর রুটি-পরোটা খাওয়ার খরচ থেকে  বিদ্যুৎ মিটার তার সুইচ ইত্যাদির সকল খরচই বিদ্যুৎ বিভাগ থেকেই দেয়া হয়। গ্রাহকরা আরও জানান, বর্ষা মৌসুমের আগে যখন গাছের ডাল পালা কাটার হিড়িক পড়ে, তখন সেই গাছের ডাল পালা কাটার খরচও নাকি বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরই দিতে হয়।
বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ক্ষোভের সাথে এই সাংবাদিক প্রতিনিধিকে জানান, সবকিছু যদি গ্রাহককেই দিতে হয় তাহলে বিদ্যুৎ বিভাগের তাবেদার প্রকৌশলীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কোন জায়গায়?
এসব প্রশ্নের ভারে ন্যুজ হয়ে পরবর্তীতে জানা গেলো, প্রকৃত রহস্য উদঘাটন।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ স্টেশন রোডস্হ বিদ্যুৎ বিপণন ও বিতরণ বিভাগ স্টেশন রোডের বিদ্যুৎ বিতরণের প্রায় সম্পূর্ণ সরকারি কাজটি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে চালাচ্ছে দালালদের মাধ্যমে। অভিযোগে জানা গেছে, এই ক্যাচকালে পুরো চান্সটাই নিয়ে নিচ্ছে বেপরোয়া দালাল চক্র।
গুরুতর অভিযোগে প্রকাশ এই দালালদের রোষানলে পড়ে শান্তিপ্রিয় গ্রাহকরা তাদের সর্বস্য খুইয়ে দালালদের হাতে তুলে দিচ্ছেন প্রতি মিটারে ত্রিশ হাজার থেকে চল্লিশ হাজার টাকা।
আবার জানা গেছে, বাণিজ্যিক ও  ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিদ্যুৎ গ্রাহকরা যদি একেবারে  শতভাগ তথ্য-উপাত্ত সামনে ধরে বলে আমাদের মিটার লাগিয়ে দিতে হবে এরপরও দালালচক্র মেজাজ দেখিয়ে বলে উঠে তার নষ্ট। পুরো তার ক্রয় করে আনুন। আবার বলে তাড়াতাড়ি করুন। আমাদের আরও কাজ আছে। একটা কাজ নিয়ে বসে থাকলে তো হবেনা। গ্রাহকরা পড়েন ফাঁপড়ে। ঘরে দুগ্ধপোষ্য শিশু। কারেন্ট তো  আগে আনতে হবে।
এই সুযোগে অমানবিক দালাল চক্র বাড়তি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়। গরীব গ্রাহকের ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে বেণিয়া দস্যুদের এই দস্যুবৃত্তি আর কতদিন চলবে? সাধারণ গ্রাহকরা ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে সেটাই জানতে চান।
জানা গেছে, বিষয়টা ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিভাগের বর্তমানে ওপেন সিক্রেট পর্যায়ে চলে গেছে।
আরও জানাগেছে যদি কোন বাসাবাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সেই রোডের সমস্ত বাসাবাড়ির বাসিন্দাদের সাড়ে সতরো বেজে যায়। ফোনের পর ফোন করেও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন আসে কি আসেনা। কথা বলে কি বলেনা। এভাবেই দিন পাচেক চলে যায়। গ্রাহক থাকেন অন্ধকারে।
জানা গেছে, এরপর সম্পূর্ণ মানবতা বিরোধী কাজটি করে ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ বিভাগ ট্রান্সফরমার ঠিক করার উধৃতি  দিয়ে বলেন ট্রান্সফরমার বিদ্যুৎ বিভাগ ঠিক করে দিবে তবে এজন্যে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসিকে চাদা দিতে হবে। চাদা কেন জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের দালালচক্র জানান ট্রান্সফরমারের মূল্য বেশী তাই এলাকার লোকজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ট্রান্সফরমার নিয়ে আসতে হবে।
এ সময় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে অসন্তোষ ও উত্তেজনা বেড়ে উঠে যার কোন পাত্তাই দেননা ময়মনসিংহ স্টেশন রোডস্হ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী ও বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। কিন্তু বিদ্যুতের সাধারণ  গ্রাহকরা বলছেন এভাবে গ্রাহকদের গলা কেটে ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিভাগের কথিত দালালচক্র আর কতদিন এভাবে দাপিয়ে বেড়াবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত রায় তা অস্বীকার করেন। তবে
এ ব্যপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের জরুরী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন বিদ্যুৎ গ্রাহকগন।

The post ময়মনসিংহ স্টেশন রোড বিদ্যুৎ বিতরণের মাঠ পর্যায়ে দালালীপনা গ্রাহক ভোগান্তি চরমে appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.