টেস্ট ক্রিকেট আরও আকর্ষণীয় করতে দ্বি-স্তর কাঠামোর দিকে হাঁটছে বিগ থ্রি খ্যাত অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত। এমন গুঞ্জনই শোনা যাচ্ছে গণমাধ্যমে।
তবে তা কেবল একরাশ হতাশা উপহার দিয়েছে মুমিনুল হককে। বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়কের মতে, এমনটা হলে টেস্ট ক্রিকেটের মান কমে যাবে।
২০২৭ সাল থেকে দ্বি-স্তর কাঠামো বাস্তবায়িত হলে প্রথম স্তরে থাকতে পারে- অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে। তখন ম্যাচ সংখ্যাও কমে যাবে বলে মনে করেন মুমিনুল।
বাংলাদেশের জার্সিতে তিন ফরম্যাটে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও মুমিনুল এখন নিয়মিত কেবল সাদা পোশাকেই। প্রায় ১২ বছরের ক্যারিয়ারে ৬৯ টেস্ট খেলেছেন তিনি।
ক্রিকেট ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জন্য হতাশার। সত্যি বলতে আমি কোনো দলকে খাটো করছি না, তবে আমি নিশ্চিত নই নিচের স্তরের জন্য কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। আমি নিশ্চিত নই, আমরা দ্বিতীয় স্তরে ভালো খেললে প্রথম স্তরে উঠতে পারব কি না। ’
‘আমি মনে করি, এতে করে টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা কমে যাবে এবং তা টেস্ট খেলোয়াড়দের জন্য খুবই হতাশাজনক। আমার মনে হয় না, সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। সত্যি বলতে, আমরা যদি ভালো দলগুলোর বিপক্ষে না খেলি, তাহলে আমাদের খেলায় উন্নতি হবে না। বড় ও শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে বাদ দিয়ে নিজেদের মধ্যে খেলতে থাকলে সেই একই পর্যায়ে থেকে যাব। ’
মুমিনুল আরও বলেন, ‘ভালো দলের বিপক্ষে যখন খেলি, তখন তাদের বিপক্ষে লড়ার জন্য কীভাবে নিজেকে আরও ভালো করার চেষ্টা করা যায় এবং নিজের খেলাকে কতটা উঁচুতে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটা বুঝতে পারি। যদি এটা বাস্তবায়িত হয় তাহলে টেস্ট ক্রিকেটের গুরত্ব কমে যাবে। কারণ ম্যাচের সংখ্যা কমে যাবে। তখন খেলোয়াড়রা সাদা বলের ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকবে। ’
এদিকে এ মাসের শেষ দিকে দ্বি-স্তর কাঠামোর পরিকল্পনা নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইক বেয়ার্ড ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। যদিও আইসিসি এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
The post দ্বি-স্তর কাঠামো প্রসঙ্গে মুমিনুল, ‘টেস্ট ক্রিকেটের মান কমে যাবে’ appeared first on Bangladesher Khela.