বোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। ফরচুন বরিশালের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল মাত্র ১২৬ রানের। তাওহিদ হৃদয় আর কাইল মায়ার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে এই লক্ষ্য পেরেতো বরিশালের লাগলো মাত্র ৬৩ বল (১০.৩ ওভার)।
ঘরের মাঠের সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারালো ফরচুন বরিশাল। চার ম্যাচে তিন জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে তামিম ইকবালের দল। টানা তিন হারে তলানিতে চলে গেছে সিলেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল বরিশাল। তামিম ইকবাল ফেরেন গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০), নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৩ বলে ৪।
তবে এরপর হৃদয় আর মায়ার্স মিলে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে আসেন। হাফসেঞ্চুরির সুযোগ ছিল হৃদয়ের। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৮ রানে তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটারের ২৭ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর ২টি ছক্কার মার।
হৃদয় শেষ সময়ে ফিরলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মায়ার্স। ৩১ বলে ৫ চার আর ৪ ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার।
এর আগে অধিনায়ক আরিফুল ইসলাম শেষদিকে একাই লড়লেন। তবু ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে ১২৫ রানে গুটিয়ে গেলো সিলেট স্ট্রাইকার্স।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই রনি তালুকদারকে (০) হারায় সিলেট। ১২ বলে ১৮ রানের ছোটখাটো এক ঝড় তুলে ফেরেন দীর্ঘকায় রাহকিম কর্নওয়াল।
এরপর হাল ধরেছিলেন জর্জ মুনসে আর জাকির হাসান। একটা সময় ২ উইকেটে ৭৬ রান ছিল সিলেটের। সেখান থেকে জাহানদাদ খান আর রিশাদ হোসেনের তোপে ৮ উইকেটে ৮৯ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। অর্থাৎ ১৩ রানের ব্যবধানে হারায় ৬টি উইকেট।
জাকির ২৬ বলে ২৬, মুনসে ১৩ বলে করেন ২৮ রান। শেষদিকে আরিফুল হক দলকে ১২৫ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান দায়িত্বশীল ইনিংসে। ২৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে ১টি চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকান সিলেট অধিনায়ক।জাহানদাদ খান ১৮ রানে আর রিশাদ ১৫ রানের বিনিময়ে নেন ৩টি করে উইকেট।
The post হৃদয়-মায়ার্সের ঝড়ে সিলেটকে উড়িয়ে দুইয়ে বরিশাল appeared first on Bangladesher Khela.