অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
দেশে প্রথমবার পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)। তবে কারও ক্ষেত্রে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। চিকিৎসা শেষে সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন। ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
মেডস্কেপের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশ্বে প্রথমবার রিওভাইরাস শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে। তবে এই ভাইরাসটি শিশু ও বয়স্কদের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে প্রাণঘাতীও হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। নতুন রিওভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক নয়, বরং সতর্ক ও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। সচেতন হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
ভাইরাসটির বিষয়ে সতর্ক করে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে শীত মৌসুমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিশু ও বয়স্কদের যত্ন নেয়ারও ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
রিওভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ: গবেষকরা বলছেন, রিওভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। আক্রান্ত হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। মারাত্মক হলে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। আর এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা।
কতটা মারাত্মক এই ভাইরাস: সাইন্স ডাইরেক্টেরপ্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা রিওভাইরাসের বিষয়ে গবেষকরা এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তাদের মতে রিওভাইরাস সাধারণত মারাত্মক নয়, তবে এটি গুরুতর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে শিশুরা সঠিক চিকিৎসা না পেলে এটি তাদের জন্য জীবনহানির পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
এই ভাইরাস সংক্রমণ কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা।
প্রতিরোধের উপায় কী: রিওভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য টিকা আছে যা শিশুদের জন্য দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া হাত ধোয়া, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও খাবারের সুরক্ষা এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।
The post দেশে প্রথমবার পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত, কতটা ভয়াবহ এই ভাইরাস appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.