1:56 am, Saturday, 18 January 2025

লোহাগড়ায় কুল চাষে দুই বন্ধুর স্বপ্ন পূরণ

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়গ্রাম ইউনিয়নের মাধভাটি গ্রামের দুই বন্ধু আব্দুল্লাহ আল মামুন জিকু এবং রুবায়েত ইসলাম টলিন শখের বশে করেছেন কুলের বাগান। লিজ নেওয়া প্রায় ১২০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছেন ৫ শতাধিক কুলের চারা।

বাগানটিতে কাশ্মীরি, থাই, বলসুন্দরী ও সিডলেস কুলের এ বাগান দেখতে প্রায় নিয়মিত লোকজন ভিড় করছেন। আলোচিত এ কুলের বাগানটি লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের মাধবাটি গ্রামে। শখের বশে দুই বন্ধু কাশ্মীরি কুল, থাই, সিডলেস ও বলসুন্দরী জাতের পাঁচ শতাধিক চারা সাতক্ষীরা থেকে এনে রোপণ করেন। ফলনও ভালো হয়েছে।

লোহাগড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর লোহাগড়া উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে লোহাগড়া উপজেলায় ১৯৮ মেট্রিক টন।

তরুন কুল চাষি রুবায়েত ইসলাম টলিন বলেন, বাগানে প্রায় পাঁচশত গাছ রয়েছে। বাগান করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। বাগান তৈরির শুরু থেকে আমি নিজে ও আমার বন্ধু জিকুকে নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজ করে যাচ্ছি। গাছের যত্ন নেওয়া এবং সঠিক সময় জৈব ও গোবর সারসহ কিছু রাসায়নিক সারও গাছের গোড়ায় দূরত্ব বজায় রেখে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমবারের মতো বাগান থেকে বরই সংগ্রহ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে প্রায় দেড় লাখ টাকার কুল বিক্রি হয়েছে। এখনও প্রায় চার লাখ টাকার কুল বিক্রি হবে বলে আশা করছি। এতে করে আমাদের সব খরচ বাদ দিয়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছি।

আব্দুল্লাহ আল মামুন জিকু বলেন, কাশ্মীরি জাতের আপেল কুল খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বাজার জুড়ে চাহিদা ব্যাপক থাকায় জমি থেকে পাইকারি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাগান দেখতে আসা রূপক মুখার্জি বলেন, কুল বাগানটি অনেক সুন্দর, এখানকার কুল অনেক মিষ্টি। এই কুল গাছে অনেক কুল ধরেছে। দেখতে ও খেতে খুব ভালো লাগছে। আমাদের জেলায় এত বড় কুল বাগান বোধ হয় আর নেই।

স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, এই বাগান দেখে তারা অভিভূত। তাদের জমিতেও এই ধরনের কুল বাগান করবেন বলে জানান। এই কুল বাগানের কথা শুনে দেখতে এসেছেন তারা। আগামী বছর তারাও এখান থেকে কুলের চারা ও পরামর্শ নিয়ে কুলের চাষ করবেন বলে জানান।

লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা আক্তার বলেন, লোহাগড়া উপজেলায় কাশ্মীরি কুলসহ বিভিন্ন জাতের কুলের আবাদ হচ্ছে। আকারে বড় ও সুস্বাদু কাশ্মীরি কুলের বেশ চাহিদা রয়েছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই কুল রোপণ ও চাষের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম

The post লোহাগড়ায় কুল চাষে দুই বন্ধুর স্বপ্ন পূরণ appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.

Tag :

লোহাগড়ায় কুল চাষে দুই বন্ধুর স্বপ্ন পূরণ

Update Time : 10:07:31 am, Friday, 17 January 2025

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়গ্রাম ইউনিয়নের মাধভাটি গ্রামের দুই বন্ধু আব্দুল্লাহ আল মামুন জিকু এবং রুবায়েত ইসলাম টলিন শখের বশে করেছেন কুলের বাগান। লিজ নেওয়া প্রায় ১২০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছেন ৫ শতাধিক কুলের চারা।

বাগানটিতে কাশ্মীরি, থাই, বলসুন্দরী ও সিডলেস কুলের এ বাগান দেখতে প্রায় নিয়মিত লোকজন ভিড় করছেন। আলোচিত এ কুলের বাগানটি লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের মাধবাটি গ্রামে। শখের বশে দুই বন্ধু কাশ্মীরি কুল, থাই, সিডলেস ও বলসুন্দরী জাতের পাঁচ শতাধিক চারা সাতক্ষীরা থেকে এনে রোপণ করেন। ফলনও ভালো হয়েছে।

লোহাগড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর লোহাগড়া উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে লোহাগড়া উপজেলায় ১৯৮ মেট্রিক টন।

তরুন কুল চাষি রুবায়েত ইসলাম টলিন বলেন, বাগানে প্রায় পাঁচশত গাছ রয়েছে। বাগান করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। বাগান তৈরির শুরু থেকে আমি নিজে ও আমার বন্ধু জিকুকে নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজ করে যাচ্ছি। গাছের যত্ন নেওয়া এবং সঠিক সময় জৈব ও গোবর সারসহ কিছু রাসায়নিক সারও গাছের গোড়ায় দূরত্ব বজায় রেখে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমবারের মতো বাগান থেকে বরই সংগ্রহ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে প্রায় দেড় লাখ টাকার কুল বিক্রি হয়েছে। এখনও প্রায় চার লাখ টাকার কুল বিক্রি হবে বলে আশা করছি। এতে করে আমাদের সব খরচ বাদ দিয়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছি।

আব্দুল্লাহ আল মামুন জিকু বলেন, কাশ্মীরি জাতের আপেল কুল খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বাজার জুড়ে চাহিদা ব্যাপক থাকায় জমি থেকে পাইকারি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাগান দেখতে আসা রূপক মুখার্জি বলেন, কুল বাগানটি অনেক সুন্দর, এখানকার কুল অনেক মিষ্টি। এই কুল গাছে অনেক কুল ধরেছে। দেখতে ও খেতে খুব ভালো লাগছে। আমাদের জেলায় এত বড় কুল বাগান বোধ হয় আর নেই।

স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, এই বাগান দেখে তারা অভিভূত। তাদের জমিতেও এই ধরনের কুল বাগান করবেন বলে জানান। এই কুল বাগানের কথা শুনে দেখতে এসেছেন তারা। আগামী বছর তারাও এখান থেকে কুলের চারা ও পরামর্শ নিয়ে কুলের চাষ করবেন বলে জানান।

লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা আক্তার বলেন, লোহাগড়া উপজেলায় কাশ্মীরি কুলসহ বিভিন্ন জাতের কুলের আবাদ হচ্ছে। আকারে বড় ও সুস্বাদু কাশ্মীরি কুলের বেশ চাহিদা রয়েছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই কুল রোপণ ও চাষের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম

The post লোহাগড়ায় কুল চাষে দুই বন্ধুর স্বপ্ন পূরণ appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.