3:48 am, Friday, 24 January 2025

খুলনায় দুই মিশনে ব্যর্থ হয় ডাকাত দলের সদস্যারা

খুলনায় ডাকাতির দু’টি মিশনে ব্যর্থ হয়েছে আন্তবিভাগীয় ডাকাত দলের সদস্যারা। প্রথমে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাসটার্মিনাল এলাকায় একটি ব্যাটারির দোকানে এবং এটি ব্যর্থ হলে হরিণটানার একটি গরুর খামারে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিলো তাদের। এই দু’টি মিশন সফল করতে ১০/১২ জনের ডাকাত দু’টি পিকআপ নিয়ে নগরীতে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয় এ চক্রের ২ সদস্য এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪ টি রাম দা, ১ টি কাটার, ১ টি লোহার পাইপ, ২ টি রডসহ একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো মনিরুজ্জামান মিঠু।

আটক হওয়া ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা এলাকার বরকত উল্লাহর ছেলে ইয়াদ আলী (৩০) এবং বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চুলিগাতি এলাকার মৃত এ্যাকেন আলীর ছেলে শেখ সুমন ওরফে মিজান (৩৫)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ জানতে পারে একদল ডাকাত সোনাডাঙ্গা এলকায় ডাকাতি করতে প্রবেশ করছে। তারা ব্যাটারির দোকানে ডাকাতি করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ময়ুরব্রীজ এলাকায় চেকপোষ্ট বসানো হয়। পুলিশের তল্লাশীর দেখে একটি পিকআপ ইউটার্ন নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশও তাদের পিছু নেয়। ডাকাত বহনকারী পিকআপটি নগরীর জিরো পয়েন্ট হয়ে রূপসা ব্রীজের দিকে যায়। তারা ব্রীজের বেরিকেড ভেঙ্গে উপজেলার কুদির বটতলা এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের দু’জনকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সোনাডাঙ্গায় তাদের তাদের ডাকাতি পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে পরবর্তী টাগেট ছিল হরিণটানা থানা এলাকা। সেখানে তাদের গরুর খামার ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল। তাদের সাথে আরও একটি পিকআপ ছিল। যেটি আটক করা সম্ভব হয়নি। এই পিকাপে আরও ৬/৭ জন ডাকাত ছিল। রাতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদের বিরুদ্ধে খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলা, বাগেরহাট জেলা ও ঝিনাইদাহ জেলায় ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাত দলের প্রধান মিজানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৮ টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে ৫/৬ গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্ট রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন সময়ে নগরীর একাধিক এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে রেকি করতে থাকে এবং সুযোগ বুঝে ডাকাতির চেষ্টা করে। তাদের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। রিমান্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি আরও জানান।

খুলনা গেজেট/ টিএ

The post খুলনায় দুই মিশনে ব্যর্থ হয় ডাকাত দলের সদস্যারা appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.

Tag :

ndax login

https://ndaxlogi.com

latitude login

https://latitude-login.com

খুলনায় দুই মিশনে ব্যর্থ হয় ডাকাত দলের সদস্যারা

Update Time : 08:08:18 pm, Thursday, 23 January 2025

খুলনায় ডাকাতির দু’টি মিশনে ব্যর্থ হয়েছে আন্তবিভাগীয় ডাকাত দলের সদস্যারা। প্রথমে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাসটার্মিনাল এলাকায় একটি ব্যাটারির দোকানে এবং এটি ব্যর্থ হলে হরিণটানার একটি গরুর খামারে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিলো তাদের। এই দু’টি মিশন সফল করতে ১০/১২ জনের ডাকাত দু’টি পিকআপ নিয়ে নগরীতে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয় এ চক্রের ২ সদস্য এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪ টি রাম দা, ১ টি কাটার, ১ টি লোহার পাইপ, ২ টি রডসহ একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো মনিরুজ্জামান মিঠু।

আটক হওয়া ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা এলাকার বরকত উল্লাহর ছেলে ইয়াদ আলী (৩০) এবং বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চুলিগাতি এলাকার মৃত এ্যাকেন আলীর ছেলে শেখ সুমন ওরফে মিজান (৩৫)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ জানতে পারে একদল ডাকাত সোনাডাঙ্গা এলকায় ডাকাতি করতে প্রবেশ করছে। তারা ব্যাটারির দোকানে ডাকাতি করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ময়ুরব্রীজ এলাকায় চেকপোষ্ট বসানো হয়। পুলিশের তল্লাশীর দেখে একটি পিকআপ ইউটার্ন নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশও তাদের পিছু নেয়। ডাকাত বহনকারী পিকআপটি নগরীর জিরো পয়েন্ট হয়ে রূপসা ব্রীজের দিকে যায়। তারা ব্রীজের বেরিকেড ভেঙ্গে উপজেলার কুদির বটতলা এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের দু’জনকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সোনাডাঙ্গায় তাদের তাদের ডাকাতি পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে পরবর্তী টাগেট ছিল হরিণটানা থানা এলাকা। সেখানে তাদের গরুর খামার ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল। তাদের সাথে আরও একটি পিকআপ ছিল। যেটি আটক করা সম্ভব হয়নি। এই পিকাপে আরও ৬/৭ জন ডাকাত ছিল। রাতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদের বিরুদ্ধে খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলা, বাগেরহাট জেলা ও ঝিনাইদাহ জেলায় ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাত দলের প্রধান মিজানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৮ টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে ৫/৬ গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্ট রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন সময়ে নগরীর একাধিক এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে রেকি করতে থাকে এবং সুযোগ বুঝে ডাকাতির চেষ্টা করে। তাদের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। রিমান্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি আরও জানান।

খুলনা গেজেট/ টিএ

The post খুলনায় দুই মিশনে ব্যর্থ হয় ডাকাত দলের সদস্যারা appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.