12:36 pm, Sunday, 26 January 2025
Aniversary Banner Desktop

নগরীর ফুটপাতের হলিডে মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীর কুমপারপাড়া মোড়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন ফৌজিয়া ইসলাম। তিনি লেখাপড়া করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতি শুক্রবার তিনি এখানে আসেন। ফৌজিয়া বলেন, এ রকম একটি মার্কেট হওয়ায় ভালোই হয়েছে। চাহিদামতো কমবেশি শীতের সব পণ্যই এখানে পাওয়া যায়। দামও অনেক সস্তা। নগরীর শিরোইল কলোনী এলাকা থেকে এসেছেন শাহিন ও সুমি দম্পতি। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন দুই ছেলে-মেয়ে সৌরভ ও সুমাইয়াকে।

শিশুদের জন্য কিছু কাপড় কিনবেন। শাহিন বলেন, আমি প্রায়ই এখানে আসি। এখানে কম দামে সাধ্যের মধ্যে ভালোমানের শীতের পোশাক পাওয়া যায়। আমাদের পরিচিত অনেকেই এখানে আসেন। তবে শহরে আরও কয়েকটি জায়গায় এ রকম হলিডে মার্কেট হলে ভালো হতো। শুধু ফৌজিয়া ও শাহিন দম্পতি নয়, তাদের মতো হাজারো ক্রেতা হলি ডে মার্কেটে আসছেন সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের শীতের পোশাক কিনতে।

শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীর হলিডে মার্কেটে জমে উঠেছে গরম কাপড় বিক্রি। মার্কেট ও শপিংমলের থেকে দামে অনেক কম হওয়ায় মানুষ ভিড় করছেন ফুটপাতে। শতাধিক দোকানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর কুমারপাড়া মোড় থেকে সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন বাহারি শীতবস্ত্র কিনতে। তবে এবার শীত কম থাকায় ব্যবসাও কম হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে আরো ভালো ব্যবসা হবে বলে প্রত্যাশা দোকানিদের।

ফুটপাতের এসব দোকানগুলোতে মানভেদে সোয়েটারের দাম ৩০ থেকে ৩০০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ৫০ থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত, বাচ্চাদের ফুলাহাত গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। আবার ছেলেদের হুডিও পাওয়া যাচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। এছাড়াও ট্রাউজার, ব্লেজার ও বিদেশি বাহারি ডিজাইনের নতুন-পুরাতন শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতের এই হলিডে মার্কেটে। সাধ্যের মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিচ্ছেন অনেকে।

ইসমাঈল নামে এক বিক্রেতা জানান, গেল কদিন তেমন শীত ছিলো না। তবে শুক্রবার সকাল থেকেই শীতের তিব্রতা বেড়েছে। ফলে বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, শীতের তীব্রতা যত বাড়বে ব্যবসাও ততই ভালো হবে। আরেক বিক্রেতা মিজান বলেন, গরিব মানুষের সবচেয়ে ভরসার জায়গা হচ্ছে এসব পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকান। প্রতি বছরই এসব পুরাতন শীতের কাপড়ের দোকানগুলোয় বেচা-বিক্রি ভালো হয়।

এসব পুরাতন কাপড়ের দোকান না থাকলে নিম্ন আয়ের মানুষ শীতের দাপটে ঠিক থাকতে পারত না। এ ছাড়া নতুন কাপড়ের চেয়ে পুরাতন কাপড় বেশি গরম এবং দাম অনেক কম। এবার বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে। শিমুল নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ছুটির দিন ও নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে হলিডে মার্কেটটি হওয়ায়, এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত ক্রেতারা গেলেই পছন্দের শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন। একবার যিনি এই মার্কেটে আসছেন, কিছু না কিছ্ ুকিনেই বাড়ি ফিরছেন।

The post নগরীর ফুটপাতের হলিডে মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় appeared first on সোনালী সংবাদ.

Tag :

ndax login

https://ndaxlogi.com

latitude login

https://latitude-login.com

latitude login

latitude login

নগরীর ফুটপাতের হলিডে মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

Update Time : 11:09:37 pm, Friday, 24 January 2025

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীর কুমপারপাড়া মোড়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন ফৌজিয়া ইসলাম। তিনি লেখাপড়া করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতি শুক্রবার তিনি এখানে আসেন। ফৌজিয়া বলেন, এ রকম একটি মার্কেট হওয়ায় ভালোই হয়েছে। চাহিদামতো কমবেশি শীতের সব পণ্যই এখানে পাওয়া যায়। দামও অনেক সস্তা। নগরীর শিরোইল কলোনী এলাকা থেকে এসেছেন শাহিন ও সুমি দম্পতি। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন দুই ছেলে-মেয়ে সৌরভ ও সুমাইয়াকে।

শিশুদের জন্য কিছু কাপড় কিনবেন। শাহিন বলেন, আমি প্রায়ই এখানে আসি। এখানে কম দামে সাধ্যের মধ্যে ভালোমানের শীতের পোশাক পাওয়া যায়। আমাদের পরিচিত অনেকেই এখানে আসেন। তবে শহরে আরও কয়েকটি জায়গায় এ রকম হলিডে মার্কেট হলে ভালো হতো। শুধু ফৌজিয়া ও শাহিন দম্পতি নয়, তাদের মতো হাজারো ক্রেতা হলি ডে মার্কেটে আসছেন সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের শীতের পোশাক কিনতে।

শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীর হলিডে মার্কেটে জমে উঠেছে গরম কাপড় বিক্রি। মার্কেট ও শপিংমলের থেকে দামে অনেক কম হওয়ায় মানুষ ভিড় করছেন ফুটপাতে। শতাধিক দোকানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর কুমারপাড়া মোড় থেকে সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন বাহারি শীতবস্ত্র কিনতে। তবে এবার শীত কম থাকায় ব্যবসাও কম হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে আরো ভালো ব্যবসা হবে বলে প্রত্যাশা দোকানিদের।

ফুটপাতের এসব দোকানগুলোতে মানভেদে সোয়েটারের দাম ৩০ থেকে ৩০০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ৫০ থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত, বাচ্চাদের ফুলাহাত গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। আবার ছেলেদের হুডিও পাওয়া যাচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। এছাড়াও ট্রাউজার, ব্লেজার ও বিদেশি বাহারি ডিজাইনের নতুন-পুরাতন শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতের এই হলিডে মার্কেটে। সাধ্যের মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিচ্ছেন অনেকে।

ইসমাঈল নামে এক বিক্রেতা জানান, গেল কদিন তেমন শীত ছিলো না। তবে শুক্রবার সকাল থেকেই শীতের তিব্রতা বেড়েছে। ফলে বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, শীতের তীব্রতা যত বাড়বে ব্যবসাও ততই ভালো হবে। আরেক বিক্রেতা মিজান বলেন, গরিব মানুষের সবচেয়ে ভরসার জায়গা হচ্ছে এসব পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকান। প্রতি বছরই এসব পুরাতন শীতের কাপড়ের দোকানগুলোয় বেচা-বিক্রি ভালো হয়।

এসব পুরাতন কাপড়ের দোকান না থাকলে নিম্ন আয়ের মানুষ শীতের দাপটে ঠিক থাকতে পারত না। এ ছাড়া নতুন কাপড়ের চেয়ে পুরাতন কাপড় বেশি গরম এবং দাম অনেক কম। এবার বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে। শিমুল নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ছুটির দিন ও নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে হলিডে মার্কেটটি হওয়ায়, এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত ক্রেতারা গেলেই পছন্দের শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন। একবার যিনি এই মার্কেটে আসছেন, কিছু না কিছ্ ুকিনেই বাড়ি ফিরছেন।

The post নগরীর ফুটপাতের হলিডে মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় appeared first on সোনালী সংবাদ.