8:51 pm, Saturday, 23 November 2024

ময়মনসিংহে মাদকের দুই কর্মকর্তা বিরুদ্ধে উৎকোচবাজীর অভিযোগ

ময়মনসিংহ জেলা শহরে ডজন ডজন মামলার আসামী ও বারোমাসী শীর্ষ মাদক মাদক ব্যবসায়ী হামে, সুবর্ণা, রুনা, দুখিনী, রাহেলা, শাওন গংদের বিভিন্ন সংস্থার অভিযানের খবর আগাম পৌছে যাওয়ার কারনে এদের কাউকে সচারচর গ্রেফতার করতে পারেনা কোন সংস্থা। শর্ষেতে ভুত থাকার কারনে বরাবরই বিভিন্ন সংস্থার অভিযান ব্যর্থ হয়। বিভিন্ন সংস্থার কতিপয় বিভিন্ন অসৎ কর্মকর্তা নিয়মিত এদের কাছ থেকে টোকেন পায় বলে অভিযোগ থাকলেও অভিযানিক টিমের ব্যর্থতায় ঘটনার সত্যতা, যেন চোখে অঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কমপক্ষে ৩০ জন মাদক ব্যদক ব্যবসায়ী অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়েই মাদক ব্যবসা করেন। কতিপয় পুলিশ অফিসার ও সদর সার্কেলের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কতিপয় অফিসারের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের খায়খাতির রয়েছে। তারা হলেন, এস আই মোর্শেদ আলম ও এ এস আই জহিরুল। মোর্শেদ আলম একই কর্মস্থলে সাড়ে ৪ বছর ধরে আছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে এসকল স্পটে আসা যাওয়া করেন বলে মাদক সেবীরা জানান। ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের দুই কর্মকর্তার আসা-যাওয়ার খবর ওপেন সিক্রেট। সোর্স মন্টু আর ভুট্রোর নিয়ন্ত্রনে রয়েছে মাদকের বিশাল স্পট। তথাকতিথ সোর্স সিরাজ আর পাপ্পু কৃষ্টপুরে ওপেন মাদক ব্যবসা করে।
মাদক ব্যবসায়ীদের একাধিক সুত্র জানিয়েছে, এস আই মোর্শেদ আলম ও এ এস আই জহিরুল শহরের মাদক স্পট গুলোতে নিয়মিত আসা যাওয়া রয়েছে। এসকল স্পট থেকে এদুইজন সপ্তাহে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ। ফলে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযানের যে কোন সংবাদ আগে পৌছে যায়। ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান অভিযানিক দল।

শহরের কেওয়াট খালীর হামে, কৃষ্টপুরের সিরাজ, পাপ্পু, রুনু, হাতকাটা নাজিমের পুত্র, ভৈরব রেল গেইটের রুমা, সুবর্ণা, জহিরুল, সুরমা, পুরোহিত পাড়ার বিশাল মাদক সেন্ডিকেট, জামতলীর দুখিনী, রহমত পুরের রাহেলা, সিএনবির বৃষ্টিশ রিপন ও তার ভাই এরাই এশহরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। এদের প্রত্যেকের সাথে জমজমাট খায়খাতির রয়েছে এস আই মোর্শেদ আলম ও এ এস আই জহিরুল এর। শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয় ফুলবাড়িয়ার গাজাঁ ব্যবসায়ী জীবন চৌহানের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে টাকা নেয়ার কথা জানিয়েছে। ফলে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযান সফলতার মূখ দেখেনা।

ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অধীনে মাসে মাসে ১৫/১৭টি নিয়মিত মামলা করার কথা। অভিযুক্ত দুই অফিসার এস আই মোর্শেদ আলম ও এ এস আই জহিরুল মাসে ১/২ টি মামলা থাকেন। আর বাকি সব ক’টাই পুরন করে থাকেন কং রাজু। রাজুই এখন সবার চক্ষুশূল!
এ ব্যপারে এস আই মোর্শেদ আলমের সাথে যোগাযোগেন চেস্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

The post ময়মনসিংহে মাদকের দুই কর্মকর্তা বিরুদ্ধে উৎকোচবাজীর অভিযোগ appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.

Tag :

ময়মনসিংহে মাদকের দুই কর্মকর্তা বিরুদ্ধে উৎকোচবাজীর অভিযোগ

Update Time : 03:07:14 pm, Saturday, 23 November 2024

ময়মনসিংহ জেলা শহরে ডজন ডজন মামলার আসামী ও বারোমাসী শীর্ষ মাদক মাদক ব্যবসায়ী হামে, সুবর্ণা, রুনা, দুখিনী, রাহেলা, শাওন গংদের বিভিন্ন সংস্থার অভিযানের খবর আগাম পৌছে যাওয়ার কারনে এদের কাউকে সচারচর গ্রেফতার করতে পারেনা কোন সংস্থা। শর্ষেতে ভুত থাকার কারনে বরাবরই বিভিন্ন সংস্থার অভিযান ব্যর্থ হয়। বিভিন্ন সংস্থার কতিপয় বিভিন্ন অসৎ কর্মকর্তা নিয়মিত এদের কাছ থেকে টোকেন পায় বলে অভিযোগ থাকলেও অভিযানিক টিমের ব্যর্থতায় ঘটনার সত্যতা, যেন চোখে অঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কমপক্ষে ৩০ জন মাদক ব্যদক ব্যবসায়ী অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়েই মাদক ব্যবসা করেন। কতিপয় পুলিশ অফিসার ও সদর সার্কেলের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কতিপয় অফিসারের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের খায়খাতির রয়েছে। তারা হলেন, এস আই মোর্শেদ আলম ও এ এস আই জহিরুল। মোর্শেদ আলম একই কর্মস্থলে সাড়ে ৪ বছর ধরে আছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে এসকল স্পটে আসা যাওয়া করেন বলে মাদক সেবীরা জানান। ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের দুই কর্মকর্তার আসা-যাওয়ার খবর ওপেন সিক্রেট। সোর্স মন্টু আর ভুট্রোর নিয়ন্ত্রনে রয়েছে মাদকের বিশাল স্পট। তথাকতিথ সোর্স সিরাজ আর পাপ্পু কৃষ্টপুরে ওপেন মাদক ব্যবসা করে।
মাদক ব্যবসায়ীদের একাধিক সুত্র জানিয়েছে, এস আই মোর্শেদ আলম ও এ এস আই জহিরুল শহরের মাদক স্পট গুলোতে নিয়মিত আসা যাওয়া রয়েছে। এসকল স্পট থেকে এদুইজন সপ্তাহে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ। ফলে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযানের যে কোন সংবাদ আগে পৌছে যায়। ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান অভিযানিক দল।

শহরের কেওয়াট খালীর হামে, কৃষ্টপুরের সিরাজ, পাপ্পু, রুনু, হাতকাটা নাজিমের পুত্র, ভৈরব রেল গেইটের রুমা, সুবর্ণা, জহিরুল, সুরমা, পুরোহিত পাড়ার বিশাল মাদক সেন্ডিকেট, জামতলীর দুখিনী, রহমত পুরের রাহেলা, সিএনবির বৃষ্টিশ রিপন ও তার ভাই এরাই এশহরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। এদের প্রত্যেকের সাথে জমজমাট খায়খাতির রয়েছে এস আই মোর্শেদ আলম ও এ এস আই জহিরুল এর। শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয় ফুলবাড়িয়ার গাজাঁ ব্যবসায়ী জীবন চৌহানের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে টাকা নেয়ার কথা জানিয়েছে। ফলে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযান সফলতার মূখ দেখেনা।

ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অধীনে মাসে মাসে ১৫/১৭টি নিয়মিত মামলা করার কথা। অভিযুক্ত দুই অফিসার এস আই মোর্শেদ আলম ও এ এস আই জহিরুল মাসে ১/২ টি মামলা থাকেন। আর বাকি সব ক’টাই পুরন করে থাকেন কং রাজু। রাজুই এখন সবার চক্ষুশূল!
এ ব্যপারে এস আই মোর্শেদ আলমের সাথে যোগাযোগেন চেস্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

The post ময়মনসিংহে মাদকের দুই কর্মকর্তা বিরুদ্ধে উৎকোচবাজীর অভিযোগ appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.