খন্দকার মুনতাসির মামুন নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার খাদ্য বিভাগের খাদ্য নিয়ন্ত্রক । তার অধীনে আছে দুইটি খাদ্য গুদাম ।
অভিযোগে কি বলা যেতে পারে ? ছোট
খাটো কর্মকর্তা কিংবা সে যেই হউন না কেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছেড়ে অন্য কোথাও তাদের যেতে ইচ্ছা করেনা। তাই সরকারি ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেও তাদের ময়মনসিংহ ছেড়ে গেলেও তাদের মন কাঁদে।
ময়মনসিংহ -নেত্রকোনা বাসী যুগপৎ এই প্রতিনিধিকে জানান দুটি কারণে নাকি সরকারি পেটি অফিসাররা ময়মনসিংহ -নেত্রকোনা এবং ময়মনসিংহের অন্যন্য জেলা সদর গুলো থেকে বদলি হওয়ার কানা ঘুষার খবর পেলেই প্রথমেই উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে চড়া দামে টাকার ঘুষ নিয়ে যায়। সেই সাথে হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করে দেন। এই ভাবে একই কায়দায় ঘুষ এবং কান্নাকাটির ফলে পেটি অফিসারদের বদলি স্হগিত হয়ে যায়। আর একটি হলো ময়মনসিংহ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহে সরকারি চাকরির কোন জবাবদিহিতাই নেই। ফলে তারা চাকরি করেন নাকে তেল দিয়ে। ঘুষ খান অবলীলায় দূর্ণীতি করেন প্রকাশ্যেই। কারণ তারা ভালো করেই জানেন তাদের কারও কাছে জবাবদিহি করতে হবেনা।
এই দৃঢ় মনস্তাত্বিক চিন্তা শক্তিতে বলীয়ান হয়ে পূর্বধলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার মুনতাসির মামুন স্বৈরাচারী পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার দাপটে,পছন্দের জায়গায় চাকরি করার রেকর্ড করেছে এবং আশ্চর্যের বিষয় আওয়ামীলীগের এই ক্যডার সরকারি চাকরিজীবী লজ্জাহীন ভাবে পূর্বধলা উপজেলাতেই খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে,এখনো বহাল তবিয়তে! এতো শহীদের রক্তপাতের পরও এখানেই আছে।
পূর্বধলাবাসী ঘৃণিত ভাবে উল্লেখ করে বলেন, এরপরও যদি নির্লজ্জ্যের মতো এই খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার মুনতাসির মামুন এখানে আওয়ামীলীগের ক্যডার হিসেবে চাকরি করতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে পরিনাম ইতিবাচক হবেনা বলে হুঁসিয়ারী দিয়ে বলেছেন তার পরিনামও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুলের মতোই হবে।
ব্যাপক অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘ পনের বছর খাদ্য বিভাগে চাকরি করার ফলে খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার মুনতাসির মামুন কোটি কোটি টাকা অবৈধ ইনকাম করেছেন। ক্রয় করেছেন নিজের নামে আত্নীয়স্বজনের নামে বিপুল পরিমান কৃষি জমি আর ময়মনসিংহের নতুন বাজারের ব্যস্ততম এলাকায় তৈরী করেছেন বিশাল আলীশান ফ্ল্যাট। সাধারন মানুষ তাকিয়ে থাকেন আর বলেন- এ তো দেখা যায় আরেক বেনজীর !
খন্দকার মুনতাসির মামুনের অরিজিনাল বাড়ি নরসিংদী। কিন্তু আলীশান ফ্ল্যাট বানিয়েছে সে ময়মনসিংহে। এই জন্যেই সাধারণ ময়মনসিংহবাসী ঘৃণিতভরে উচ্চারণ করেন খন্দকার মুনতাসিরের ময়মনসিংহ প্রেম!
অভিযোগে জানা গেছে, মিলারদের কাছ থেকে পঁচা দূর্গন্ধময় চাউল কিনে গুদাম ভর্তে বাধ্য করেন আর প্রতি টনে ১২০০ টাকা কমিশন খেয়ে থাকে দুইটি খাদ্যগুদামের অধিকর্তা পূর্বধলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার মুনতাসির মামুন। এখনও একই কায়দায় সে ফুলে ফেঁপেই উঠছে।
জানা গেছে, পূর্বধলাবাসী এখন আর খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার মুনতাসির মামুনকে পূর্বধলায় দেখতে চাননা। পূর্বধলাবাসী প্রত্যাশা করেন পরবর্তীতে কোন অঘটন ঘটার আগেই খন্দকার মুনতাসির মামুনকে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে তার ঘুষ দূর্ণীতিগুলো যেনো সঠিক তদন্ত করে তার বিরুদ্ধ বিভাগীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্হা অবিলম্বে গ্রহন করা হয় ।
The post এত টাকা কোথায় পেলেন খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার মুনতাসির মামুন? appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.