4:57 am, Sunday, 24 November 2024

সংস্কার : ‘না’ ভোট এবং ‘ভোট রিকল’ আলোচনায়

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ রাখতে চায় না সংস্কার কমিশন। এই লক্ষ্যে না ভোট ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। নির্বাচন কমিশন নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাইছে বলে জানিয়েছেন কমিশন সদস্য অধ্যাপক ড. জাহেদ উর রহমান।

অন্যদিকে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছরের পরিবর্তে চার বছর করার কথা ভাবছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। সংবিধানের বিষয় হলেও নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় এ নিয়ে ড. জাহিদের মতামত নেয়ার জন্য সংবিধান সংস্কার কমিশন তাকেও ডেকেছিলো। সূত্র : ডিব্লিউ বাংলা

সংস্কার কমিশন এপর্যন্ত ছয়টি মতবিনিময় সভা করেছে। শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজমুদার জানান, “রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সরাসরি হওয়ার কথা আলোচনা হয়েছে। সব নির্বাচন প্রত্যক্ষ হওয়ার কথা বলেছেন কেউ কেউ। স্থানীয় সরকার সরকার নির্বাচন নির্দলীয় হওয়ার কথা হয়েছে, সংসদীয় পদ্ধতিতে যেন না হয়।”

তিনি আরো বলেন, “রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের কথা এসেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা এসেছে। সংস্কার কমিশনও এ নিয়ে ভাবছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের ভোটের ব্যাপারে। কত শতাংশ ভোট পেলে নির্বাচিত হবেন সে বিষয়েও বলেছেন। না ভোট ফিরিয়ে আনার জন্য বলেছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেন কেউ নির্বাচিত না হন, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”

রাষ্ট্রপতি প্রার্থীরা যেন নির্দলীয় হন, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রসঙ্গও এসেছে।

কমিশনের আরেক সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আগেই নির্বাচনে গেলে সংস্কার প্রক্রিয়া পুরোপুরি থেমে যাবে। একই সময়ে সব স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে সংস্কার কমিশন বিবেচনা করছে । স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় করার পরামর্শ আছে।”

ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, “অনেক ধরনের প্রস্তাবই আসছে। তবে সব প্রস্তাব নিয়ে আমরা আলোচনা করলেও সব বিষয় আমাদের এখতিয়ারে নেই। যারা প্রস্তাব করছেন তারা হয়তো বা সংবিধান এবং নির্বাচন কশিনের ফারাকটা বুঝতে পারছেন না। আমরা যা করতে পারব তা নির্বাচন কমিশন আইন ও বিধিমালায় যা আছে তার ওপর সংস্কার। তবে আমরা এর জন্য প্রয়োজন হলে কিছু সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাবও করব।”

তিনি জানান, সংস্কারের জন্য বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু হয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো লিখিত প্রস্তাব দেবে। তাদের সঙ্গে সরাসরি সরকার আলোচনা করবে। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কার প্রস্তাবের খসড়া লেখা শুরু করে দিয়েছি। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের সংস্কার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিতে পারব।”

ড. জাহেদ বলেন, “রাষ্ট্রপতি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন, এটা করতে হলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে। এটা আসলে আমাদের পার্ট না। আবার না ভোট ফিরিয়ে আনা যেটা ছিলো, নির্বাচনে ব্যয়ে স্বচ্ছতা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ না থাকা, এগুলো আমরা দেখতে পারি। কিন্তু নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের জন্য সংবিধান সংস্কার প্রয়োজন হবে।”

“আবার কিছু কিছু বিষয় আমরা সংবিধান সংস্কার করেও পরিবর্তনের প্রস্তাব করবো। যেমন নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার। কিন্তু সহযোগিতা না করলে কী ব্যবস্থা নেয়া যাবে তা বলা নাই। আমরা সেটা স্পষ্ট করতে চাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমরা ফিরিয়ে আনার প্রস্তার করবো,” বলেন তিনি।

তিনি জানান, “নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর করতে চায় সংবিধান সংস্কার কমিশন। তারা মনে করে এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনও যুক্ত। তাই তারা কমিশন সদস্য হিসেবে আমাকে ডেকে মতামত নিয়েছে।”

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, “আসলে নির্বান ব্যবস্থার এমন সংস্কার আমরা করতে চাই যাতে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়। জাতীয় নির্বাচন যদি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়, তাহলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কেন নয়? কিন্তু পাঁচ ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আছে। তাই আমরা এমন ব্যবস্থার সুপারিশ করছি যাতে সব স্থানীয় নির্বাচন একদিনে করা যায়।”

নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করতে আইন, সংবিধানসহ অনেক কিছুরই সংস্কার করতে হবে। ফলে সব মিলিয়েই প্রস্তাব করা হবে বলেও জানান ড. তোফায়েল।

নির্বাচন কমিশনে এইসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, “আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। তাই আমার দল চায় প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা। সংস্কারের জন্য জন্য সরকার যতগুলো কমিটি করেছে আমাদের দলও ততগুলো কমিটি করেছে। কমিটিগুলো কাজ করছে। আমরাও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের একটি প্রস্তাব ঘোষণা করেছি।”

তিনি বলেন, “আমরা যখন সরকারের সঙ্গে বসবো, কমিশনের সঙ্গে বসবো, তখন আমাদের প্রস্তাব তুলে ধরবো। এখন নির্বাচন কমিশনে যে প্রস্তাব আসছে তার মধ্যে যেগুলো বাস্তবভিত্তিক সেগুলোর সঙ্গে আমরা একমত। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশের মানুষ যা চায় তার সঙ্গে আমরা একমত।”

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “আমরা আগেও নির্বাচন কমিশনে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। সেগুলো তাদের কাছে আছে। আলোচনার সময় আমরা তা নিয়ে আবার কথা বলবো। তবে যদি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন না হয় তাহলে অবশ্যই না ভোট ফিরিয়ে আনতে হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ থাকবে না যদি না ভোট থাকে। তাই না ভোট খুবই জরুরি। আমরা এর সঙ্গে রিকল ব্যবস্থা চাই। একজন নির্বাচিত হওয়ার পর যদি তিনি মানুষের জন্য কাজ না করেন তাহলে তার পদ ভোটারদের দাবির ভিত্তিতে বাতিল করে ফের নির্বাচন আমরা চাই।”

তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি পদে সরাসরি নির্বাচন নয়। আমরা সংসদীয় ব্যবস্থায় যেহেতু আছি তাই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য চাই আমরা। আর যদি না ভোট ও রিকল সিস্টেম করা যায় তাহলে বাংলাদেশের বাস্তবতায় প্রধানন্ত্রী পদের মেয়াদ পাঁচ বছরই ঠিক আছে।”

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ওয়েবসাইট ও ই-মেইলের মাধ্যমেও মতামত নিচ্ছে।

খুলনা গেজেটে/কেডি

The post সংস্কার : ‘না’ ভোট এবং ‘ভোট রিকল’ আলোচনায় appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.

Tag :

সংস্কার : ‘না’ ভোট এবং ‘ভোট রিকল’ আলোচনায়

Update Time : 11:07:11 pm, Saturday, 23 November 2024

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ রাখতে চায় না সংস্কার কমিশন। এই লক্ষ্যে না ভোট ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। নির্বাচন কমিশন নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাইছে বলে জানিয়েছেন কমিশন সদস্য অধ্যাপক ড. জাহেদ উর রহমান।

অন্যদিকে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছরের পরিবর্তে চার বছর করার কথা ভাবছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। সংবিধানের বিষয় হলেও নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় এ নিয়ে ড. জাহিদের মতামত নেয়ার জন্য সংবিধান সংস্কার কমিশন তাকেও ডেকেছিলো। সূত্র : ডিব্লিউ বাংলা

সংস্কার কমিশন এপর্যন্ত ছয়টি মতবিনিময় সভা করেছে। শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজমুদার জানান, “রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সরাসরি হওয়ার কথা আলোচনা হয়েছে। সব নির্বাচন প্রত্যক্ষ হওয়ার কথা বলেছেন কেউ কেউ। স্থানীয় সরকার সরকার নির্বাচন নির্দলীয় হওয়ার কথা হয়েছে, সংসদীয় পদ্ধতিতে যেন না হয়।”

তিনি আরো বলেন, “রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের কথা এসেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা এসেছে। সংস্কার কমিশনও এ নিয়ে ভাবছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের ভোটের ব্যাপারে। কত শতাংশ ভোট পেলে নির্বাচিত হবেন সে বিষয়েও বলেছেন। না ভোট ফিরিয়ে আনার জন্য বলেছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেন কেউ নির্বাচিত না হন, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”

রাষ্ট্রপতি প্রার্থীরা যেন নির্দলীয় হন, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রসঙ্গও এসেছে।

কমিশনের আরেক সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আগেই নির্বাচনে গেলে সংস্কার প্রক্রিয়া পুরোপুরি থেমে যাবে। একই সময়ে সব স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে সংস্কার কমিশন বিবেচনা করছে । স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় করার পরামর্শ আছে।”

ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, “অনেক ধরনের প্রস্তাবই আসছে। তবে সব প্রস্তাব নিয়ে আমরা আলোচনা করলেও সব বিষয় আমাদের এখতিয়ারে নেই। যারা প্রস্তাব করছেন তারা হয়তো বা সংবিধান এবং নির্বাচন কশিনের ফারাকটা বুঝতে পারছেন না। আমরা যা করতে পারব তা নির্বাচন কমিশন আইন ও বিধিমালায় যা আছে তার ওপর সংস্কার। তবে আমরা এর জন্য প্রয়োজন হলে কিছু সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাবও করব।”

তিনি জানান, সংস্কারের জন্য বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু হয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো লিখিত প্রস্তাব দেবে। তাদের সঙ্গে সরাসরি সরকার আলোচনা করবে। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কার প্রস্তাবের খসড়া লেখা শুরু করে দিয়েছি। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের সংস্কার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিতে পারব।”

ড. জাহেদ বলেন, “রাষ্ট্রপতি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন, এটা করতে হলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে। এটা আসলে আমাদের পার্ট না। আবার না ভোট ফিরিয়ে আনা যেটা ছিলো, নির্বাচনে ব্যয়ে স্বচ্ছতা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ না থাকা, এগুলো আমরা দেখতে পারি। কিন্তু নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের জন্য সংবিধান সংস্কার প্রয়োজন হবে।”

“আবার কিছু কিছু বিষয় আমরা সংবিধান সংস্কার করেও পরিবর্তনের প্রস্তাব করবো। যেমন নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার। কিন্তু সহযোগিতা না করলে কী ব্যবস্থা নেয়া যাবে তা বলা নাই। আমরা সেটা স্পষ্ট করতে চাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমরা ফিরিয়ে আনার প্রস্তার করবো,” বলেন তিনি।

তিনি জানান, “নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর করতে চায় সংবিধান সংস্কার কমিশন। তারা মনে করে এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনও যুক্ত। তাই তারা কমিশন সদস্য হিসেবে আমাকে ডেকে মতামত নিয়েছে।”

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, “আসলে নির্বান ব্যবস্থার এমন সংস্কার আমরা করতে চাই যাতে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়। জাতীয় নির্বাচন যদি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়, তাহলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কেন নয়? কিন্তু পাঁচ ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আছে। তাই আমরা এমন ব্যবস্থার সুপারিশ করছি যাতে সব স্থানীয় নির্বাচন একদিনে করা যায়।”

নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করতে আইন, সংবিধানসহ অনেক কিছুরই সংস্কার করতে হবে। ফলে সব মিলিয়েই প্রস্তাব করা হবে বলেও জানান ড. তোফায়েল।

নির্বাচন কমিশনে এইসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, “আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। তাই আমার দল চায় প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা। সংস্কারের জন্য জন্য সরকার যতগুলো কমিটি করেছে আমাদের দলও ততগুলো কমিটি করেছে। কমিটিগুলো কাজ করছে। আমরাও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের একটি প্রস্তাব ঘোষণা করেছি।”

তিনি বলেন, “আমরা যখন সরকারের সঙ্গে বসবো, কমিশনের সঙ্গে বসবো, তখন আমাদের প্রস্তাব তুলে ধরবো। এখন নির্বাচন কমিশনে যে প্রস্তাব আসছে তার মধ্যে যেগুলো বাস্তবভিত্তিক সেগুলোর সঙ্গে আমরা একমত। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশের মানুষ যা চায় তার সঙ্গে আমরা একমত।”

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “আমরা আগেও নির্বাচন কমিশনে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। সেগুলো তাদের কাছে আছে। আলোচনার সময় আমরা তা নিয়ে আবার কথা বলবো। তবে যদি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন না হয় তাহলে অবশ্যই না ভোট ফিরিয়ে আনতে হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ থাকবে না যদি না ভোট থাকে। তাই না ভোট খুবই জরুরি। আমরা এর সঙ্গে রিকল ব্যবস্থা চাই। একজন নির্বাচিত হওয়ার পর যদি তিনি মানুষের জন্য কাজ না করেন তাহলে তার পদ ভোটারদের দাবির ভিত্তিতে বাতিল করে ফের নির্বাচন আমরা চাই।”

তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি পদে সরাসরি নির্বাচন নয়। আমরা সংসদীয় ব্যবস্থায় যেহেতু আছি তাই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য চাই আমরা। আর যদি না ভোট ও রিকল সিস্টেম করা যায় তাহলে বাংলাদেশের বাস্তবতায় প্রধানন্ত্রী পদের মেয়াদ পাঁচ বছরই ঠিক আছে।”

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ওয়েবসাইট ও ই-মেইলের মাধ্যমেও মতামত নিচ্ছে।

খুলনা গেজেটে/কেডি

The post সংস্কার : ‘না’ ভোট এবং ‘ভোট রিকল’ আলোচনায় appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.