আমাদের বরিশাল ডেস্ক:
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার শেষ প্রান্তে মাছ ধরার সময় ধরে নিয়ে যাওয়া ৭৮ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিচ্ছে ভারতের উড়িষ্যার সরকার। এরই মধ্যে বিষয়টির প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) উড়িষ্যা পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট (পারাদ্বীপ) সন্তোষ কুমার এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে খুলনার হিরণ পয়েন্টের অদূরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার শেষ প্রান্তে মাছ ধরার সময় ‘অনুপ্রবেশের অভিযোগ’ তুলে ভারতীয় কোস্ট গার্ড ওই বাংলাদেশিদের আটক করে। তাদের নিয়ে যাওয়া হয় উড়িষ্যার পারাদ্বীপে।
পুলিশ কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার জেনা বলেন, ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া ও তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পারাদ্বীপ পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছিল। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তাদের সবাইকে বাংলাদেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ভারতের কোস্ট গার্ডের বিবৃতিতে দাবি করা হয়, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা বরাবর টহলদারির সময় কোস্ট গার্ডের জাহাজ ভারতীয় জনসীমায় কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে। এসময় দুটি বাংলাদেশি ট্রলারকে আটক করে তারা। ওই ট্রলার দুটি অবৈধভাবে ভারতীয় সীমানায় মাছ ধরছিল। পরে বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ও তাদের বহনকারী দুটি ট্রলারকে পারাদ্বীপ সমুদ্রবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। স্থানীয় পুলিশ এবং কোস্ট গার্ড যৌথভাবে ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করে এবং তাতে দেখা যায়, দুটি ট্রলারই বাংলাদেশে নথিভুক্ত রয়েছে। যথাক্রমে ‘এফ ভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫ নামে ট্রলার দুটির প্রথমটিতে ৪১ জন এবং দ্বিতীয়তে ৩৭ জন মৎস্যজীবী ছিলেন।
যদিও বাংলাদেশের নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশি ট্রলার দুটির সর্বশেষ অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে আমরা জেনেছি আমাদের সমুদ্রসীমার মধ্যেই মৎস্য আহরণে নিয়োজিত ছিল। সেখান থেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড নিয়ে যায়। ঘটনার পর বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডসহ সরকারি সংস্থাগুলো ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
The post সাগর থেকে ভারতে ধরে নিয়ে যাওয়া ৭৮ বাংলাদেশি মুক্তি পাচ্ছেন appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.